ষোলো আনা

ধানের পর চামড়া, দুই ভরসাই খতম

পিয়াস সরকার

১৬ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

ছবিঃ নাসির উদ্দিন

সীমান্তবর্তী গ্রাম সরকারপাড়া। গ্রামটিতে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। কৃষকপ্রধান গ্রামটির অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। গ্রামটিতে কোনো রকম বাঁশ ঘেরা দুটি ঘরে থাকে ৩৮ শিশু। তারা সবাই এতিম। এতিমখানার নাম সরকারপাড়া এতিমখানা। এটি অবস্থিত নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটীতে।

প্রত্যন্ত এলাকার এই এতিমখানায় কোনো রকমে চলে তাদের দিন। তাদের আয়ের উৎস দুটি। প্রধান আয়ের উৎস ঈদুল আজহার চামড়ার অর্থ ও ধান। কিন্তু এবারে বড় হুমকির মুখে তারা। এই এতিমখানায় চামড়ার টাকা দান করেন অনেক মানুষ। দান করেন চামড়াও। এর আগের বছর চামড়া থেকে তারা আয় করেছিলেন প্রায় ৩২ হাজার টাকা। কিন্তু এবারে চামড়া থেকে তারা আয় করেছেন মাত্র ৩ হাজার ৮শ’ টাকা। বিক্রি না হওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে ৪টি গরু ও ৩টি ছাগলের চামড়া। আর ধানের দাম না থাকায় সেখানেও আয় কম হয়েছে তাদের। এর আগেরবার ধানের মৌসুমে আয় হয়েছিল ৬২ হাজার টাকা। এবারের মৌসুমে তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা কম।

এতিমখানার পরিচালক জুয়েল ইসলাম বলেন, এই এতিমখানা এমনিতেই করুণ দশায় চলছে। আবার ধানের সময় টাকা কম আসলো। আর এবার চামড়ার টাকাই পেলাম না। এখন বাচ্চাগুলোকে চালাবো কী করে? অন্যের সাহযোগিতায় চলবে তার তো উপায় নেই। ধানের দাম না পাওয়ায় সবার ঘরেই অভাব। শঙ্কায় আছি না খেয়ে না থাকতে হয় তাদের। আর একজন হুজুর তাদের দেখাশোনা করেন। তার বেতন আগেই ঠিকমতো দিতে পারতাম না। আর এখন পরিস্থিতি তো আরো ভয়াবহ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status