বাংলারজমিন
গঙ্গাচড়ায় গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
১০ আগস্ট ২০১৯, শনিবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে গৃহবধূকে জুতার মালা পরিয়ে মাথার চুল কেটে দিয়ে উল্লাস করেছে আপন দেবর ও জায়েরা। ঘটনাটি সাতআনি শেরপুর ছিটমহল এলাকায় গত বুধবার ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর জামাতা বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার মূলহোতা ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে গতকাল বিকালে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের সাতআনি শেরপুর ছিটমহল এলাকার আবদুল কাদেরের স্ত্রী মানিকা বেগম তার আপন দেবর আবদুল মতিনের মেয়ে মৌসুমীকে নিজের মেয়ের মতো দেখাশোনা করতো। মৌসুমীর বিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। মৌসুমীকে মেয়ের মতো দেখাশোনার কারণে বিয়েতে মানিকার ভূমিকা বেশি ছিল। কিন্তু বিয়ে হওয়ার ১ মাসের মাথায় প্রেম সংঘটিত সন্দেহে মৌসুমীকে স্বামী তালাক দেয়। মৌসুমীকে তালাক দেয়ার জন্য দেবর-জা, শ্বশুর-শাশুড়ি মানিকাকে দায়ী করে। এনিয়ে মানিকাকে বিভিন্ন সময় তারা গালিগালাজ করে আসে। এরই জের ধরে দেবর, জা, শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাদের লোকজন গত বুধবার দুপুরে মানিকার বাড়িতে যায় এবং তাকে একা পেয়ে টেনেহেঁচড়ে বাড়ির বাইরে এনে বাড়ির সামনে আম গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালায়। তারা মানিকার শরীরে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে হাত ঝলসে দেয়, গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে মাথার সমস্ত চুল কেটে দিয়েছে। জামাতার বাড়িতে থাকা মানিকার মা আসমা খাতুন বলেন, আমার মেয়েকে যখন তারা চুল কাটে আর মার ডাং করে হাসে তখন আমি তাদের হাতে পায়ে ধরি মেয়েকে ছেড়ে দিতে বললে তারা আমাকে মারপিট করে। গঙ্গাচড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানিকা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, যাকে আমি মেয়ের মতো বড় করলাম এটাই কি আমার অপরাধ। আজ তার সংসার বিচ্ছেদের মিথ্যা দায় আমার ওপর চাপিয়ে আপন দেবর-জা ও শ্বশুর,শাশুড়ি যেভাবে আমাকে নির্যাতন করলো, গলায় সেন্ডেলের মালা দিয়ে গাছে বেঁধে মাথার চুল কাটলো, আগুনের ছ্যাঁকে হাত পুড়িয়ে দেয়। এই মিথ্যা অপবাদের এমন নির্যাতনের চেয়ে আমার মরে যাওয়ায় ভালো ছিল। কিন্তু এই মিথ্যা অপবাদ নিয়ে আমি সমাজে চলবো কীভাবে, আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। নির্যাতিতার জামাই বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দয়ের করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, দেবর আবদুল মতিন, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মোত্তালেব, নয়া মিয়া, জা এমিলি বেগম ও অপরজন মনোয়ারা বেগম। পুলিশ আবদুল মতিন ও আবদুল মোত্তালেবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের সাতআনি শেরপুর ছিটমহল এলাকার আবদুল কাদেরের স্ত্রী মানিকা বেগম তার আপন দেবর আবদুল মতিনের মেয়ে মৌসুমীকে নিজের মেয়ের মতো দেখাশোনা করতো। মৌসুমীর বিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। মৌসুমীকে মেয়ের মতো দেখাশোনার কারণে বিয়েতে মানিকার ভূমিকা বেশি ছিল। কিন্তু বিয়ে হওয়ার ১ মাসের মাথায় প্রেম সংঘটিত সন্দেহে মৌসুমীকে স্বামী তালাক দেয়। মৌসুমীকে তালাক দেয়ার জন্য দেবর-জা, শ্বশুর-শাশুড়ি মানিকাকে দায়ী করে। এনিয়ে মানিকাকে বিভিন্ন সময় তারা গালিগালাজ করে আসে। এরই জের ধরে দেবর, জা, শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাদের লোকজন গত বুধবার দুপুরে মানিকার বাড়িতে যায় এবং তাকে একা পেয়ে টেনেহেঁচড়ে বাড়ির বাইরে এনে বাড়ির সামনে আম গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালায়। তারা মানিকার শরীরে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে হাত ঝলসে দেয়, গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে মাথার সমস্ত চুল কেটে দিয়েছে। জামাতার বাড়িতে থাকা মানিকার মা আসমা খাতুন বলেন, আমার মেয়েকে যখন তারা চুল কাটে আর মার ডাং করে হাসে তখন আমি তাদের হাতে পায়ে ধরি মেয়েকে ছেড়ে দিতে বললে তারা আমাকে মারপিট করে। গঙ্গাচড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানিকা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, যাকে আমি মেয়ের মতো বড় করলাম এটাই কি আমার অপরাধ। আজ তার সংসার বিচ্ছেদের মিথ্যা দায় আমার ওপর চাপিয়ে আপন দেবর-জা ও শ্বশুর,শাশুড়ি যেভাবে আমাকে নির্যাতন করলো, গলায় সেন্ডেলের মালা দিয়ে গাছে বেঁধে মাথার চুল কাটলো, আগুনের ছ্যাঁকে হাত পুড়িয়ে দেয়। এই মিথ্যা অপবাদের এমন নির্যাতনের চেয়ে আমার মরে যাওয়ায় ভালো ছিল। কিন্তু এই মিথ্যা অপবাদ নিয়ে আমি সমাজে চলবো কীভাবে, আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। নির্যাতিতার জামাই বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দয়ের করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, দেবর আবদুল মতিন, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মোত্তালেব, নয়া মিয়া, জা এমিলি বেগম ও অপরজন মনোয়ারা বেগম। পুলিশ আবদুল মতিন ও আবদুল মোত্তালেবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।