বিশ্বজমিন
মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৪:২০ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল ও তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছ। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের আগস্টে সামরিক অভিযানের নামে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার প্রায় দুই বছর পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হল। নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়া কর্মকর্তারা ও তাদের পরিবার এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদের মধ্যে রয়েছেন, মিয়ানমারের কমান্ডার ইন চিফ বা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং আং এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ বিষয়ে বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলায় এই জেনারেলদের সম্পৃক্ততার ও ওই নৃশংসতা পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার অভিযোগে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি তদন্ত চালানো হচ্ছে। পপম্পেও জানান, ২০১৭ সালে ইন দিন গ্রামে বিচারবহির্ভ’ত হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত সেনাদের কয়েক মাস পরই মুক্তি দিয়ে দেন কমান্ডার ইন-চিফ মিন অঙ্গ হ্লাইং। তার এই সিদ্ধান্তের কারণেই নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করা হয়েছে। ইন দিন গ্রামের ওই হত্যাকা- তদন্ত করার সময় গ্রেপ্তার হন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ি ও। কারাগারে তাদের চেয়েও কম সময় কাটিয়েছে হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সেনারা।
পম্পেও জানান, আমরা উদ্বিগ্ন যে, মিয়ানমার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও নির্যাতনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়া, এখনো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে পদক্ষে গ্রহণকারী প্রথম রাষ্ট্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গর্হিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানের নামে নৃশংস অভিযান চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তাদের ওই অভিযানকে ‘জাতি নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। তাএর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে একাধিক গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের আগস্টে সামরিক অভিযানের নামে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার প্রায় দুই বছর পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হল। নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়া কর্মকর্তারা ও তাদের পরিবার এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদের মধ্যে রয়েছেন, মিয়ানমারের কমান্ডার ইন চিফ বা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং আং এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ বিষয়ে বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলায় এই জেনারেলদের সম্পৃক্ততার ও ওই নৃশংসতা পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার অভিযোগে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি তদন্ত চালানো হচ্ছে। পপম্পেও জানান, ২০১৭ সালে ইন দিন গ্রামে বিচারবহির্ভ’ত হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত সেনাদের কয়েক মাস পরই মুক্তি দিয়ে দেন কমান্ডার ইন-চিফ মিন অঙ্গ হ্লাইং। তার এই সিদ্ধান্তের কারণেই নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করা হয়েছে। ইন দিন গ্রামের ওই হত্যাকা- তদন্ত করার সময় গ্রেপ্তার হন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ি ও। কারাগারে তাদের চেয়েও কম সময় কাটিয়েছে হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সেনারা।
পম্পেও জানান, আমরা উদ্বিগ্ন যে, মিয়ানমার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও নির্যাতনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়া, এখনো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে পদক্ষে গ্রহণকারী প্রথম রাষ্ট্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গর্হিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানের নামে নৃশংস অভিযান চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তাদের ওই অভিযানকে ‘জাতি নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। তাএর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে একাধিক গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।