বাংলারজমিন
প্রত্যন্ত চরে ত্রাণের জন্য হাহাকার
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
চলমান বন্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কথা বলা হলেও বগুড়ার প্রত্যন্ত চরের পানিবন্দি মানুষের অভিযোগ তাদের কাছে কোনো ধরনের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। বাঁধের আশপাশে বসবাসকারী বন্যার্ত মানুষের কাছে ত্রাণের প্যাকেট যাচ্ছে, সে পরিমাণও কম। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রত্যন্ত চরের বানভাসী মানুষের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ত্রাণের কথা শোনা যায় কিন্তু সেই ত্রাণগুলো কাদের দিচ্ছে সেই কথা তারা জানেন না। কথা হয় সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে। তার ঘরের চাল পর্যন্ত পানি ঠেকেছে। কোনো রকমে বাঁধে একটি ছাপরা ঘর তুলে মাথা গুঁজে আছে। তিনি এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কারো কাছ থেকেই ত্রাণ পাননি। এদিকে যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে বগুড়ার নদী তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ। বন্যায় আক্রান্ত এই পরিবারগুলোর মধ্যে ২ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে আর ৪৯ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ স্থানে। বন্যার পানিতে শুধুমাত্র সারিয়কান্দি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২শ’ ২২টি পুকুরের (২৫. ২৯ হেক্টর) ৭৩. ৯৭ মে. টন মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকের আউশ ধান, পাট, রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজির ৮হাজার ৬০৩ হেক্টর তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। কবলিত এলাকায় কারো ঘরে হাঁটু পানি আবার কারো ঘরে কোমর পানি। বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, ধুনট তিন উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে প্রায় ১৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, জ্বালানি এবং গবাদি পশু খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে।
গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানের যমুনা নদীর পানি ১৭.৭৫ সেন্টিমিটারে প্রাবিহত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী ১৯শে জুলাই পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। প্লাবিত এলাকাগুলো হচ্ছে সারিয়কান্দি উপজেলার কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, চালুয়াবাড়ী, চন্দনবাইশা, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, সারিয়াকান্দি সদর, কামালপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও যমুনার তীরবর্তী এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। সোনাতলা উপজেলার মধুপুর, পাকুল্যা, তেকানি চুকাইনগড়। এখানে ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এবং ধুনট উপজেলার সহরাবাড়ি, বৈশাখীর চর, রাধারনগড়, বুথুয়ার ভিটা, শিমুলবাড়ী, পুকুরিয়া। এই উপজেলায় ১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, জ্বালানি এবং গবাদি পশু খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে।
গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানের যমুনা নদীর পানি ১৭.৭৫ সেন্টিমিটারে প্রাবিহত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী ১৯শে জুলাই পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। প্লাবিত এলাকাগুলো হচ্ছে সারিয়কান্দি উপজেলার কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, চালুয়াবাড়ী, চন্দনবাইশা, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, সারিয়াকান্দি সদর, কামালপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও যমুনার তীরবর্তী এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। সোনাতলা উপজেলার মধুপুর, পাকুল্যা, তেকানি চুকাইনগড়। এখানে ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এবং ধুনট উপজেলার সহরাবাড়ি, বৈশাখীর চর, রাধারনগড়, বুথুয়ার ভিটা, শিমুলবাড়ী, পুকুরিয়া। এই উপজেলায় ১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।