ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
বাউন্ডারি গণনার নিয়ম নিয়ে সমালোচনার ঝড়
স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
রাউন্ড রবিন লীগে পাকিস্তানের সমান ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। নেট রান রেট ভাগ্যে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছিল কিউইরা। কিন্তু ফাইনালে ভাগ্যটা কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনদের পক্ষে এলো না। ম্যাচে টাই ও সুপার ওভারেও টাই করে বাউন্ডারি গণনায় হারতে হলো টানা দুই আসরের ফাইনালিস্টদের। আইসিসির এই নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট বিশ্বে। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করছেন। বলেন, এই নিয়ম পরিবর্তন করা উচিত।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নকআউট পর্বের ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়াবে সুপার ওভারে। আর যদি সুপার ওভারও টাই হয় তাহলে শিরোপা নির্ধারণ হবে বাউন্ডারি গণনার মাধ্যমে। অর্থাৎ সুপার ওভারে টাই হলে পুরো ম্যাচে যে দল বেশি বাউন্ডারি হাঁকাবে তারা জয়ী হবে। ম্যাচে ইংল্যান্ড মেরেছে ২৪ বাউন্ডারি আর নিউজিল্যান্ড ১৬টি। অর্থাৎ ইংল্যান্ডই জয়ী। আর এই নিয়মেই কপাল পুড়েছে কেন উইলিয়ামসনের দলের।
ক্রিকেটবোদ্ধাদের প্রতিক্রিয়া
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস: দারুণ মশকরা, আইসিসি!
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ব্রেট লি: ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যের জন্য নিউজিল্যান্ডকে সমবেদনা। এটা বলতেই হবে বিজয়ী বেছে নিতে এটা খুব বাজে একটা পদ্ধতি। এ নিয়ম পাল্টাতেই হবে।
অস্ট্রেলিয়ান সাবেক লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন: ফল নয়, খেলা বিবেচনায় কালকের ফাইনালে ‘আসল জয়ী’ দল কিন্তু নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডের সেরা দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আড়াই শ’র কম স্কোর করে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল কিউইরা। যে ইংল্যান্ড সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার ২২৩ রানকে পাত্তাই দেয়নি, সে দলটারই মানসিক শক্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে ওই ৬ রান না হলে কে জানে কিউইরা জিততেও পারতো! এমনকি সুপার ওভারেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। এমন দল ম্যাচের একদম শেষে গিয়ে যদি বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মের কাছে হারে, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই।
ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ ও সংবাদকর্মী রজনীশ গুপ্ত: সুপার ওভারে টাই হলে বাউন্ডারি গণনার ওপর ভিত্তি করে জয়ী নির্ধারণ কখনো পছন্দ হয়নি। যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করলে এটা বেশি ভালো হতো। এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কেউ হারেনি।
অস্ট্রেলিয়ান সেলিব্রিটি ব্রাইডন কভারডেল: বিশ্বকাপের নিষ্পত্তি হলো অযৌক্তিক নিয়মের ওপর ভিত্তি করে। উইকেটের থেকে তাহলে বাউন্ডারি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আমাকে আর কখনো বলবেন না, এটা ব্যাটসম্যানদের খেলা নয়।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ডিন জোন্স : ডি/এল মেথড রান ও উইকেট হারানোর ওপর ভিত্তি করে বানানো। কিন্তু এখানে চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হলো বাউন্ডারির ওপর ভিত্তি করে। আমার মতে, এটি ঠিক হয়নি।
ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর: এ ধরনের ম্যাচে বাউন্ডারি গণনার ওপর ভিত্তি করে কীভাবে ফল নির্ধারিত হয়, তা বোধগম্য নয়। অদ্ভুত নিয়ম। টাই হওয়া উচিত ছিল। দুই দলকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং: নিয়মটির (বাউন্ডারি গণনা) সঙ্গে একমত হতে পারছি না। তবে নিয়ম তো নিয়মই...।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নকআউট পর্বের ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়াবে সুপার ওভারে। আর যদি সুপার ওভারও টাই হয় তাহলে শিরোপা নির্ধারণ হবে বাউন্ডারি গণনার মাধ্যমে। অর্থাৎ সুপার ওভারে টাই হলে পুরো ম্যাচে যে দল বেশি বাউন্ডারি হাঁকাবে তারা জয়ী হবে। ম্যাচে ইংল্যান্ড মেরেছে ২৪ বাউন্ডারি আর নিউজিল্যান্ড ১৬টি। অর্থাৎ ইংল্যান্ডই জয়ী। আর এই নিয়মেই কপাল পুড়েছে কেন উইলিয়ামসনের দলের।
ক্রিকেটবোদ্ধাদের প্রতিক্রিয়া
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস: দারুণ মশকরা, আইসিসি!
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ব্রেট লি: ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যের জন্য নিউজিল্যান্ডকে সমবেদনা। এটা বলতেই হবে বিজয়ী বেছে নিতে এটা খুব বাজে একটা পদ্ধতি। এ নিয়ম পাল্টাতেই হবে।
অস্ট্রেলিয়ান সাবেক লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন: ফল নয়, খেলা বিবেচনায় কালকের ফাইনালে ‘আসল জয়ী’ দল কিন্তু নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডের সেরা দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আড়াই শ’র কম স্কোর করে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল কিউইরা। যে ইংল্যান্ড সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার ২২৩ রানকে পাত্তাই দেয়নি, সে দলটারই মানসিক শক্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে ওই ৬ রান না হলে কে জানে কিউইরা জিততেও পারতো! এমনকি সুপার ওভারেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। এমন দল ম্যাচের একদম শেষে গিয়ে যদি বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মের কাছে হারে, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই।
ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ ও সংবাদকর্মী রজনীশ গুপ্ত: সুপার ওভারে টাই হলে বাউন্ডারি গণনার ওপর ভিত্তি করে জয়ী নির্ধারণ কখনো পছন্দ হয়নি। যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করলে এটা বেশি ভালো হতো। এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কেউ হারেনি।
অস্ট্রেলিয়ান সেলিব্রিটি ব্রাইডন কভারডেল: বিশ্বকাপের নিষ্পত্তি হলো অযৌক্তিক নিয়মের ওপর ভিত্তি করে। উইকেটের থেকে তাহলে বাউন্ডারি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আমাকে আর কখনো বলবেন না, এটা ব্যাটসম্যানদের খেলা নয়।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ডিন জোন্স : ডি/এল মেথড রান ও উইকেট হারানোর ওপর ভিত্তি করে বানানো। কিন্তু এখানে চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হলো বাউন্ডারির ওপর ভিত্তি করে। আমার মতে, এটি ঠিক হয়নি।
ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর: এ ধরনের ম্যাচে বাউন্ডারি গণনার ওপর ভিত্তি করে কীভাবে ফল নির্ধারিত হয়, তা বোধগম্য নয়। অদ্ভুত নিয়ম। টাই হওয়া উচিত ছিল। দুই দলকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং: নিয়মটির (বাউন্ডারি গণনা) সঙ্গে একমত হতে পারছি না। তবে নিয়ম তো নিয়মই...।