বাংলাদেশ কর্নার
ফুটবল জাদুঘরে টাইগার ক্রিকেট ভক্ত
স্পোর্টস রিপোর্টার, ম্যানচেস্টার থেকে
৯ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
ম্যানচেস্টার নামটা শুনলে আগে কিসের কথা মনে পড়ে? ফুটবল তো, তা কেন মনে পড়বে না! বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি নিয়ে কতো গল্পই না শুনেছেন। ইংলিশ ক্রিকেটের ভক্তরা যারা তাদের অনেকের ভালোবাসার নাম ‘ম্যানইউ’ ও ‘ম্যান সিটি’। ইংল্যান্ডে এই শহরটিতে ফুটবল যেন মানুষ গিলে খায় এমন আবস্থা। খেলার দিন পাবগুলোতে টিভিতে ফুটবল না হলে যেন মানসম্মান যায় মালিকদের। এক কথায় কেউ এটিকে ফুটবলের শহর বলেও ডাকেন। এমন শহরেই তো থাকবে ফুটবল ইতিহাস আর ঐতিহ্য। হ্যা, ‘ইংল্যান্ডে ন্যাশনাল মিউজিয়াম’ একেবারেই ম্যানেচেস্টারের প্রাণ কেন্দ্রে। বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে, তাই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের জন্য আনুষ্ঠানিকতা আর ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা মাত্র। তবে সেই কাজের আগে ফুটবল মিউজিয়াম দেখার লোভটা কোনোভাবেই সামলানো গেল না। প্রবেশ পথেই দারুণ ভিড়! টিকিটের চড়া দামও যেন কাউকে আটকাতে পারছে না। টিকিট কাউন্টারে যেতেই নাম ও দেশের নাম জানতে চাইলেন মিউজিয়ামের এক কর্মী। দেশের নাম শুনতেই হঠাৎ চমকে দিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলেন তরুণ, ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’ তুমি এখানে ক্রিকেটের জন্য এসেছ? ইস! ইস! বাংলাদেশ নেই সেমিফাইনালে। ওদের অনেক মিস করবো। কি দারুণ খেলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য।’
কিছুক্ষণ বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিল। ফুটবলে বুঁদ এই ইংলিশদের বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখে। ও আগে তাদের পরিচয়টা দিয়ে নিচ্ছি। দু’জনই ইংল্যান্ড ন্যাশনাল মিউজিয়ামের কর্মী। টিকিট বিক্রি ও দর্শনার্থীদের গাইড হিসেবেও কারজ করেন তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে দারুণ খোঁজ খবর রাখা ২২ বছরের তরুণের নাম উইল। আরেকজনের নাম টমি। টিকিট দিতে দিতে উইল বলেন, ‘জানো আমি ফুটবলের পরই ক্রিকেট পছন্দ করি। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের পর আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ। আমার ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কোনটাই ভালো লাগে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভীষণ ভক্ত। চেষ্টা ছিল সব খেলা দেখার। সব দেখতে পারিনি কাজের জন্য। তবে খোঁজ রেখেছি। ইস! তোমাদের সেমিফাইনালে থাকার কথা। ম্যানচেস্টারে আসলে আমি অটোগ্রাম নিতে মাঠে নিশ্চিত যেতে পারতাম। এই জন্য একদিন ছুটি নিতেও আমার কোনো সমস্যা হতো না। সাকিবের অটোগ্রাম আমি নিতাম। সে দারুণ খেলেছে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশের সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে এবার সোজাসুজি প্রশ্ন করে বসলেন উইল আর টমি। বলতো কেন ওরা বাদ পড়েছে? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত ও পয়েন্ট ভাগাভাগি বাদ পড়ার পিছনে এমন দুটি কারণ বলতেই হেসে উঠলেন উইল। বলেন, ‘একেবারে ঠিক বলেছ। এই দুটি ঘটনার কারণে ছন্দপতন হয়েছে। পরে ওরা চেষ্টা করেছে কিন্তু বের হতে পারেনি। সাকিব দারুণ করেছে। কিন্তু আমি আরো একটা কারণ বলি- বাকিরা ওকে সাপোর্ট দিতে পারেনি। ঠিক না? যাই হোক বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা রইলো।’
কথা বলতে বলতেই হাসি মুখে জাদুঘরের টিকিট হাতে তুলে দিলেন। বললেন, ‘যাও এবার আমাদের ফুটবলের দুনিয়া দেখে আসো। ভালো লাগবে আশা করি। যদি কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে ডেকে নিও আমি চেষ্টা করবো ফুটবল নিয়ে বলতে।’ জাদুঘরের দিকে পা বড়াতেই এবার টম পিছন থেকে ডেকে থামালেন, প্রশ্ন করলেন ‘তোমাদের ফুটবল দল কোনটা, কেমন করছে তারা। এমন মিউজিয়াম আছে নিশ্চয়? জবাবে কিছুক্ষণ চুপ করেই থাকতে হলো। কী উত্তর দিবো ভাবতে ভাবতে বললাম- ‘ভালো, চলছে তবে তোমাদের মতো নয়।’ এই ছাড়া আর কিবাই বলার আছে, তাই মাথা নিচু করে দ্রুত সেখান থেকে সরেই যেতে হলো। একবার বলতেও ইচ্ছে হয়েছিল যে- ‘বাংলাদেশের ফুটবল এখন কোমাতে।’ ওহ! আপনাদের জন্য বাকি রইলো জাদুঘরের সেই ফুটবল দুনিয়ার গল্প। আরেক দিন শোনাবো তা।
কিছুক্ষণ বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিল। ফুটবলে বুঁদ এই ইংলিশদের বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখে। ও আগে তাদের পরিচয়টা দিয়ে নিচ্ছি। দু’জনই ইংল্যান্ড ন্যাশনাল মিউজিয়ামের কর্মী। টিকিট বিক্রি ও দর্শনার্থীদের গাইড হিসেবেও কারজ করেন তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে দারুণ খোঁজ খবর রাখা ২২ বছরের তরুণের নাম উইল। আরেকজনের নাম টমি। টিকিট দিতে দিতে উইল বলেন, ‘জানো আমি ফুটবলের পরই ক্রিকেট পছন্দ করি। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের পর আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ। আমার ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কোনটাই ভালো লাগে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভীষণ ভক্ত। চেষ্টা ছিল সব খেলা দেখার। সব দেখতে পারিনি কাজের জন্য। তবে খোঁজ রেখেছি। ইস! তোমাদের সেমিফাইনালে থাকার কথা। ম্যানচেস্টারে আসলে আমি অটোগ্রাম নিতে মাঠে নিশ্চিত যেতে পারতাম। এই জন্য একদিন ছুটি নিতেও আমার কোনো সমস্যা হতো না। সাকিবের অটোগ্রাম আমি নিতাম। সে দারুণ খেলেছে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশের সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে এবার সোজাসুজি প্রশ্ন করে বসলেন উইল আর টমি। বলতো কেন ওরা বাদ পড়েছে? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত ও পয়েন্ট ভাগাভাগি বাদ পড়ার পিছনে এমন দুটি কারণ বলতেই হেসে উঠলেন উইল। বলেন, ‘একেবারে ঠিক বলেছ। এই দুটি ঘটনার কারণে ছন্দপতন হয়েছে। পরে ওরা চেষ্টা করেছে কিন্তু বের হতে পারেনি। সাকিব দারুণ করেছে। কিন্তু আমি আরো একটা কারণ বলি- বাকিরা ওকে সাপোর্ট দিতে পারেনি। ঠিক না? যাই হোক বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা রইলো।’
কথা বলতে বলতেই হাসি মুখে জাদুঘরের টিকিট হাতে তুলে দিলেন। বললেন, ‘যাও এবার আমাদের ফুটবলের দুনিয়া দেখে আসো। ভালো লাগবে আশা করি। যদি কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে ডেকে নিও আমি চেষ্টা করবো ফুটবল নিয়ে বলতে।’ জাদুঘরের দিকে পা বড়াতেই এবার টম পিছন থেকে ডেকে থামালেন, প্রশ্ন করলেন ‘তোমাদের ফুটবল দল কোনটা, কেমন করছে তারা। এমন মিউজিয়াম আছে নিশ্চয়? জবাবে কিছুক্ষণ চুপ করেই থাকতে হলো। কী উত্তর দিবো ভাবতে ভাবতে বললাম- ‘ভালো, চলছে তবে তোমাদের মতো নয়।’ এই ছাড়া আর কিবাই বলার আছে, তাই মাথা নিচু করে দ্রুত সেখান থেকে সরেই যেতে হলো। একবার বলতেও ইচ্ছে হয়েছিল যে- ‘বাংলাদেশের ফুটবল এখন কোমাতে।’ ওহ! আপনাদের জন্য বাকি রইলো জাদুঘরের সেই ফুটবল দুনিয়ার গল্প। আরেক দিন শোনাবো তা।