ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামের মতো গ্রেটরা পারেননি। পারেননি ওয়াকার ইউনুস-শহীদ আফিদ্রিরাও। নিজেদের সোনালী সময়েও কখনো বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয় দেখেনি পাকিস্তান। এবারের দলটি তো কাগজে কলমে ভারতের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। তাদের সম্ভাবনা কতটুকু? খোদ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা বলছেন, সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে দলীয় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের বিশ্বাস ইতিহাসটা এবার পাল্টে দিতে পারবে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, ১৬ই জুন ওল্ড ট্রাফোর্ডের ম্যাচটি আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ভেন্যুতে একটি নতুন ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি আমরা। কাজেই আমাদের অতীত ভুলে গিয়ে মরণপ্রাণ লড়বো। দলের খেলোয়াড়দের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আশা করি, এবার জিততে পারবো।’ আর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ম্যাচটিকে অন্য আট-দশটা ম্যাচের মতোই সাধারণ মনে করছেন।
২০১২/১৩ সালে সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। এরপর থেকে টুর্নামেন্ট ছাড়া সাক্ষাৎ হয় না দু’দলের। প্রতিযোগিতামূলক আসরে দুদলের শেষ ৮ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছে ভারত। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপের ম্যাচটিও রয়েছে। সর্বশেষ গত বছর এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। একটিতে ভারত জেতে ৯ উইকেটে, অপরটিতে ৮ উইকেটে। সাম্প্রতিক সময়ে লড়াইগুলো একপেশে হলেও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতে ১৮০ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে ওই দলটাই আজ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে কোহলিদের। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের চোখে ভারতই ফেবারিট। স্কাই স্পোর্টসের এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘আমার কাছে ভারতই ফেবারিট। তাদের হারাতে পাকিস্তানকে সেরাটাই খেলতে হবে। আমরা জানি, পাকিস্তানের সে সামর্থ্য আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই আমরা তা দেখেছি।’
বিশ্বকাপে এবার বেশ বাজে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। তবে পরের ম্যাচেই হট ফেবারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। চতুর্থ ম্যাচে এসে আবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হলে সেরা চার দলে থাকতে হবে। আর ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত (অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পর্যন্ত)। ফলে ভারতের বিপক্ষে জয় একরকম আবশ্যক হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের জন্য।
ভারতের কাছে এই ম্যাচটির গুরুত্ব আবার অন্য কারণে বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত। পাকিস্তান সন্ত্রাস লালন করে এমন অভিযোগ তুলে তাদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারত। এমনকি বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচটিও বয়কট করার হুমকি দেয়। এ ম্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দু’দেশের সমর্থকদের মাঝে। মাঠ ও টিভি দর্শক মিলিয়ে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ চোখ রাখবে ম্যাচটিতে। যে দলই জিতুক, সবার প্রথম চাওয়া বৃষ্টি যেন আসে আজ ম্যানচেস্টারে। তা না হলে এক নিমিষেই মিইয়ে যাবে সব উত্তেজনা।
২০১২/১৩ সালে সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। এরপর থেকে টুর্নামেন্ট ছাড়া সাক্ষাৎ হয় না দু’দলের। প্রতিযোগিতামূলক আসরে দুদলের শেষ ৮ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছে ভারত। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপের ম্যাচটিও রয়েছে। সর্বশেষ গত বছর এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। একটিতে ভারত জেতে ৯ উইকেটে, অপরটিতে ৮ উইকেটে। সাম্প্রতিক সময়ে লড়াইগুলো একপেশে হলেও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতে ১৮০ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে ওই দলটাই আজ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে কোহলিদের। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের চোখে ভারতই ফেবারিট। স্কাই স্পোর্টসের এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘আমার কাছে ভারতই ফেবারিট। তাদের হারাতে পাকিস্তানকে সেরাটাই খেলতে হবে। আমরা জানি, পাকিস্তানের সে সামর্থ্য আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই আমরা তা দেখেছি।’
বিশ্বকাপে এবার বেশ বাজে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। তবে পরের ম্যাচেই হট ফেবারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। চতুর্থ ম্যাচে এসে আবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হলে সেরা চার দলে থাকতে হবে। আর ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত (অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পর্যন্ত)। ফলে ভারতের বিপক্ষে জয় একরকম আবশ্যক হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের জন্য।
ভারতের কাছে এই ম্যাচটির গুরুত্ব আবার অন্য কারণে বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত। পাকিস্তান সন্ত্রাস লালন করে এমন অভিযোগ তুলে তাদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারত। এমনকি বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচটিও বয়কট করার হুমকি দেয়। এ ম্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দু’দেশের সমর্থকদের মাঝে। মাঠ ও টিভি দর্শক মিলিয়ে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ চোখ রাখবে ম্যাচটিতে। যে দলই জিতুক, সবার প্রথম চাওয়া বৃষ্টি যেন আসে আজ ম্যানচেস্টারে। তা না হলে এক নিমিষেই মিইয়ে যাবে সব উত্তেজনা।