দেশ বিদেশ
বাজেটে আয় ব্যয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক: জাপা
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে একটি বিশাল ফারাক আছে বলে মনে করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের গতকাল ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর দলের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের দেশের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি বাজেটের সমস্যা হল, ‘যতবেশি ঘাটতি তত বেশি সংশোধন। ফলে বাজেটে ঘাটতির ফলে সংশোধনীতে মূল চরিত্র রক্ষা করা যায় না। বাজেট আকৃতি বেশ বড়। বড় অংকের অর্থ রাজস্ব খাতে আয় করতে হবে। আবার নির্ধারিত খাতে বড় ধরনের ব্যয়ও করতে হবে। সরকারের জন্য দুটিই বড় চ্যালেঞ্জ। জিএম কাদের বলেন, সংসদে নানা তর্ক-বিতর্কের পর, আলাপ আলোচনা ও মতামতের মাধ্যমে যে বাজেট গৃহীত হয় বাস্তবায়নকালীন সংশোধনের ধাক্কায় তার উদ্দেশ্য ও অনুমোদিত রূপরেখার ব্যাপক পরিবর্তনের আশঙ্কা থাকে। আবার ঘাটতি মোকাবিলায় সময়ে সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ট্যাক্স বাড়ানো হয়। এতে পরোক্ষ কর বেড়ে যায়, সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা চাই নিম্নবিত্তের ওপর বোঝা কম পড়ুক। প্রত্যক্ষ কর বেশি বাড়লে সাধারণ ধনিক শ্রেণির ওপর প্রভাব পড়ে তারা এটা সামলে উঠতে পারেন। জিএম কাদের বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট হতে সংশোধনীতে যেন হত দরিদ্র, তরুণ ও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বরাদ্দ কাটছাট না হয়। এছাড়া শেয়ার বাজারে শৃঙ্খলা আনতে বিদ্যমান আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং কৃষিতে প্রণোদনা ও ভর্তুকি আরো বাড়াতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। জাপা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট চলছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সরকারের অধিক হারে ঋণ গ্রহণ। ফলে, বেসরকারি খাতে নতুন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী দরকার মতো যথেষ্ট ঋণ পাচ্ছেন না। বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে।
এবারকার ঘাটতি মেটাতে সরকার যখন আবার ব্যাংক ঋণের সাহায্য নিবেন তা বিরাজমান সংকটকে আরো ঘনিভূত করতে পারে। বাজেটে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
জিএম কাদের বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে যে উদ্যোগ সমূহ বাজেটে উপস্থাপনায় বলা হয়েছে তা যেনো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে কাজে লাগে।
জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, প্রবাসীদের প্রণোদনা দেয়ায় রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের লাভবান করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আসলে হত দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তাই তিনি বাজেটকে ব্যবসা বান্ধব করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, একরাম হোসেন মিয়া, উপদেষ্টা আশরাফ উদ দৌলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবারকার ঘাটতি মেটাতে সরকার যখন আবার ব্যাংক ঋণের সাহায্য নিবেন তা বিরাজমান সংকটকে আরো ঘনিভূত করতে পারে। বাজেটে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
জিএম কাদের বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে যে উদ্যোগ সমূহ বাজেটে উপস্থাপনায় বলা হয়েছে তা যেনো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে কাজে লাগে।
জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, প্রবাসীদের প্রণোদনা দেয়ায় রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের লাভবান করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আসলে হত দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তাই তিনি বাজেটকে ব্যবসা বান্ধব করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, একরাম হোসেন মিয়া, উপদেষ্টা আশরাফ উদ দৌলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।