এক্সক্লুসিভ

উবার চালক হত্যার ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ

শাহনেওয়াজ বাবলু

১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর উত্তরায় উবার চালক মো. আরমান (৪২)-কে গলা কেটে হত্যার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। আরমানের সঙ্গে কারো কোনও শত্রুতা ছিল না বলে দাবি করছে তার পরিবার। পুলিশ জানায়, ছিনতাই না পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যা তা এখনো তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। সব বিষয় বিবেচনায় রেখে ঘটনার তদন্ত চলছে।

সরজমিন উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ৫২ নম্বর বাড়ির সামনে একটি দেয়ালে গাড়ির ধাক্কা লাগার চিহ্ন রয়েছে। ১৬ নম্বর সড়কে কিছু কিছু জায়গায় রক্তের দাগও দেখা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, ১৩ই জুন রাত ১১টা ২১ মিনিটে উবারে কল পেয়ে রামপুরার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরে আসেন চালক আরমান। ১২টার পর ওই যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গাড়ির ভেতরে ড্রাইভিং সিটে নিহতের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের গাড়ি স্টার্ট অবস্থায় ছিল। তার সিট বেল্ট বাঁধা ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চলন্ত অবস্থায় গাড়িটি ১৬ নম্বর সড়ক দিয়ে এসে ৫২ নম্বর বাড়ির পাশের দেয়ালে ধাক্কা খায়। ওই গাড়ির ভেতর থেকে নিহতের দুটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেছে। গাড়ির পেছনের দুটি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল এবং সামনের দুটি দরজার লক খোলা ছিল। উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৫, ১৬, ২০ নম্বর সড়কে বিভিন্ন ভবনে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে এই গাড়ির সামনের অংশ দেখা গেলেও পেছনের অংশ দেখা যায়নি। এছাড়া ক্যামেরার ফুটেজে হামলার কোনও দৃশ্য দেখা যায়নি।

আরমানের গাড়ির মালিকের ছোট ভাই গোলাম আলী অন্তর বলেন, আরমান আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। দেড় বছর ধরে সে আমাদের গাড়ি চালায়। তার কোনও শত্রু আছে বলে আমার মনে হয় না।

উত্তরা ১৪ নম্বরের এক বাসিন্দা বলেন, ওই রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি শব্দ হয়। তখন বাসা থেকে নেমে দেখি একটি গাড়ি দেয়াল ঘেঁষে আছে। ভেতরে একজন লোক রক্তাক্ত। তার গলার অনেকটা অংশ কাটা ছিল। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। উত্তরা ১৪ নম্বর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সেক্টর এলাকায় কোনও সড়কে বাতি জ্বলে না। সেখানে ৩৪ জন সিকিউরিটি নাইট গার্ড রয়েছেন। তাছাড়া ১৪ নম্বর সেক্টরে রাতে পুলিশ টহলও তেমন থাকে না। পুরো সেক্টরে যদি নিয়মিত পুলিশ টহল থাকতো, তাহলে এমন অপরাধের সুযোগ থাকতো না বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।

উত্তরা পশ্চিম থানা ওসি তপন চন্দ্র সাহা মানবজমিনকে বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা বিভিন্ন ক্লু খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। হত্যাকারী কে বা কারা তা শনাক্তে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status