এক্সক্লুসিভ
‘সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ’ বৃদ্ধিতে নতুন রেকর্ড বাংলাদেশের
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ জুন ২০১৯, শনিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে ‘সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ’ বা এফডিআই প্রবাহ রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে গত বছর। গত বছর দেশে এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৮ শতাংশ। যার মোট আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬০ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) বিশ্ব বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিবেদন ২০১৯-এ এমনটা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিদ্যুৎ খাত ও পোশাক শিল্পের মতো শ্রমশক্তিপ্রধান শিল্পগুলোয় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের কারণেই এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের এমন উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এসবের পাশাপাশি, জাপান টোবাকো কর্তৃক ইউনাইটেড ঢাকা টোবাকোর অধিগ্রহণও এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। ইউনাইটেড ঢাকা টোবাকো কিনে গত বছর এদেশে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে জাপান টোবাকো।
এদিকে, বিশ্বের কম উন্নত দেশগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। কম উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এফডিআই সম্পন্ন দেশের তালিকায় আরো রয়েছে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া ও মোজাম্বিক। এর মধ্যে মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ায় গত বছর এফডিআই প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ৪ শতাংশ। এতে অঞ্চলটিতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার। ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মোট এফডিআইয়ের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়ে গেছে কেবল ভারতেই। গত বছর দেশটিতে এই প্রবাহ বেড়েছে ৬ শতাংশ। এতে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২শ’ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে উৎপাদন, যোগাযোগ ও আর্থিক সেবা খাতে বিনিয়োগ। এর মধ্যে বড় চুক্তিগুলোর একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট কর্তৃক ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্টের অধিগ্রহণ।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআই বৃদ্ধি বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিও এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধিতে রেকর্ড করেছে। ২০১৮ সালে সে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিনিয়োগই এসেছে এশীয় দেশগুলো থেকে- চীন, সিঙ্গাপুর ও ভারত। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নই শ্রীলঙ্কার এফডিআই অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে, এফডিআই প্রবাহ বিবেচনায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তবে প্রথম তিন দেশের বিপরীতে পাকিস্তানে এফডিআই হ্রাস পেয়েছে। প্রায় ২৭ শতাংশ বিনিয়োগ কমে দেশটিতে ২০১৮ সালে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪০ কোটি ডলার। আঙ্কটাড জানিয়েছে, মূলত চীন-পাকিস্তান করিডোরের বেশকিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় এমনটা হয়েছে। এই করিডোরের বেশিরভাগ প্রকল্পই ছিল বিদ্যুৎ ও নির্মাণ কাজ। এসবের অর্থ পরিশোধের ভারসাম্যতার চ্যালেঞ্জের কারণেও নতুন বিনিয়োগ পায়নি পাকিস্তান। চলতি বছর দেশটির এফডিআই প্রবাহ আরো হ্রাস পেতে পারে।
আঙ্কটাড জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় তুলনামূলকভাবে এফডিআই প্রবাহ বাড়লেও, বিশ্বজুড়ে গড় হারে কমেছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে এফডিআই প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে ১৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে বৈশ্বিক এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি। ২০১৮ সালে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এই হ্রাস পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে, বিশ্বের কম উন্নত দেশগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। কম উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এফডিআই সম্পন্ন দেশের তালিকায় আরো রয়েছে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া ও মোজাম্বিক। এর মধ্যে মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ায় গত বছর এফডিআই প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ৪ শতাংশ। এতে অঞ্চলটিতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার। ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মোট এফডিআইয়ের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়ে গেছে কেবল ভারতেই। গত বছর দেশটিতে এই প্রবাহ বেড়েছে ৬ শতাংশ। এতে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২শ’ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে উৎপাদন, যোগাযোগ ও আর্থিক সেবা খাতে বিনিয়োগ। এর মধ্যে বড় চুক্তিগুলোর একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট কর্তৃক ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্টের অধিগ্রহণ।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআই বৃদ্ধি বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিও এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধিতে রেকর্ড করেছে। ২০১৮ সালে সে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিনিয়োগই এসেছে এশীয় দেশগুলো থেকে- চীন, সিঙ্গাপুর ও ভারত। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নই শ্রীলঙ্কার এফডিআই অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে, এফডিআই প্রবাহ বিবেচনায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তবে প্রথম তিন দেশের বিপরীতে পাকিস্তানে এফডিআই হ্রাস পেয়েছে। প্রায় ২৭ শতাংশ বিনিয়োগ কমে দেশটিতে ২০১৮ সালে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪০ কোটি ডলার। আঙ্কটাড জানিয়েছে, মূলত চীন-পাকিস্তান করিডোরের বেশকিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় এমনটা হয়েছে। এই করিডোরের বেশিরভাগ প্রকল্পই ছিল বিদ্যুৎ ও নির্মাণ কাজ। এসবের অর্থ পরিশোধের ভারসাম্যতার চ্যালেঞ্জের কারণেও নতুন বিনিয়োগ পায়নি পাকিস্তান। চলতি বছর দেশটির এফডিআই প্রবাহ আরো হ্রাস পেতে পারে।
আঙ্কটাড জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় তুলনামূলকভাবে এফডিআই প্রবাহ বাড়লেও, বিশ্বজুড়ে গড় হারে কমেছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে এফডিআই প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে ১৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে বৈশ্বিক এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি। ২০১৮ সালে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এই হ্রাস পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।