বাংলারজমিন
সংবাদ প্রকাশের জের
সাংবাদিকের ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০১৯, শনিবার, ৮:২২ পূর্বাহ্ন
চোরাচালান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার চুনারুঘাট প্রতিনিধি নুরুল আমিনের ছোটভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে ডিবি’র এক অফিসারের বিরুদ্ধে। গত ৩০শে এপ্রিল দৈনিক মানবজমিন ও স্থানীয় দৈনিকগুলোতে ‘চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় নিম্নমানের চা-পাতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন ডিবির ওই অফিসার। ইতিমধ্যে এলাকাবাসী ডিবি’র ওই অফিসারের নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, গত ৭ই জুন বিকালে সাংবাদিক নুরুল আমিনের ছোটভাই ফজলুর রহমান আকল তার বাড়ির একটি বিয়ের সওদা করতে স্থানীয় আমুরোড বাজারে যান। আমুরোড বাঁশতলা নামক স্থানে পৌঁছামাত্র আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন লোক নিজেকে ডিবি পুলিশ দাবি করে আকলের পথরোধ করে এবং তার পকেটে জাল টাকা গুঁজে দিয়ে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিতে টানাহেঁচড়া শুরু করে। ডিবি পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে উপস্থিত লোকজন প্রতিবাদ করলে সেই অফিসার নিজেকে ডিবি’র সাব ইন্সপেক্টর রাজিবুল ইসলাম বলে পরিচয় দেন। এসময় প্রতিবাদকারী লোকজনকে নানা ভয়ভীতি দেখান এবং আকলকে আটক করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি জানার পর সাংবাদিক নুরুল আমিন বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। পরদিন জাল টাকার পরিবর্তে আকলকে ইয়াবা রাখার অপরাধে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তিনি যে দুই ব্যক্তিকে সাক্ষী করেছেন, তারা এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তাদের বাড়ি ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে। তাদের বক্তব্যের রেকর্ড এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে। সাজানো মামলায় আটক ফজলুর রহমান আকলের পুত্র আশিকুর রহমান রাব্বি বলেন, ডিবি’র সেই অফিসারের ঘুষের দাবি মেটাতে না পারায় তার বাবাকে ডিবি’র সেই অফিসার শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ সাজানো এ মামলার প্রকাশ্য তদন্ত দাবি করেছেন। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, ডিবি’র সাব ইন্সপেক্টর রাজিবুল চুনারুঘাট সীমান্তে মাদকের সিন্ডিকেট তৈরি করে মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন। তার সোর্স হিসেবে যারা কাজ করে তারা সবাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ডিবি’র সাব ইন্সপেক্টর রাজিবুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।