বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ায় তিন বছর ধরে পানি নিষ্কাশন বন্ধ
কৃষকের ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০১৯, শনিবার, ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
তিন বছর ধরে পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার দুই শতাধিক একর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে কুড়তলা গ্রামের রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ থাকায় বর্ষাকালে উজানের জমিগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বোরো, আমন ও আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিনের এ জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একাধিকবার লিখিত দাবি জানালেও এখনও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার কুড়তলা গ্রামের বরাটিয়া-বাহাদিয়া সড়কে নির্মিত কালভার্টটির নিচ দিয়ে পাকিস্তান আমল থেকে ওই এলাকার উজানের পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। কালভার্টটির কাছে দক্ষিণ পাশের জমির মালিক একই এলাকার রইছ উদ্দিন। তিনি ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তার ওই জমির এক পাশে একটি পুকুর খনন ও অপর পাশে মাটি ভরাট করে একটি বাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অভিযুক্ত রইছ উদ্দিন বলেন, আমার নিজের জমিতে আমি বাড়ি নির্মাণ ও পুকুর খনন করেছি। আমি পানি চলাচলের কোন পথ বন্ধ করিনি। বরং আমার পুকুর ও বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য একটি নালা তৈরি করে দিয়েছি। সেখান দিয়ে পানি চলাচল করছে। পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করতে আমি কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু জমিতে বাড়ি নির্মাণকারি পক্ষ খুবই প্রভাবশালী। আমার কোন কথাই তারা কর্ণপাত করছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, এটা পৌরসভার এখতিয়ারাধীন।