বাংলারজমিন
কচুয়া-গৌরীপুর সড়কে কাজ শেষ হতে না হতেই ভাঙন
কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০১৯, শনিবার, ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
গৌরীপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক। এ সড়কে কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪২ কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব, চাঁদপুর, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন ঢাকা, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন করে ওই সড়কে বাঁক সরলীকরণ, ব্রিজ, কালভার্টের কাজ শেষ হয়েছে। চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার মেসার্স এমআরসি ও মেসার্স হাসান বিল্ডার্স ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ করে। গতকাল সরজমিনে দেখা যায় ১২টি বাঁক সরলীকরণ, ৪টি কালভার্ট ও ১টি ব্রিজ ইতিমধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ না হতেই নির্মাণাধীন সড়কটির অন্তত ২২টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়কের বিভিন্ন স্তরে বালি, খোয়া ও পাথর আনুপাতিকহারে মিশ্রণ না করার কারণে কাজ শেষ হতেই না হতেই সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এ বিষয়ে সড়ক জনপথ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদরকিও খুব একটা চোখে পড়েনি বলে জানান তারা। কোনো কোনো স্থানে ভেঙে সড়কের মাঝখানে এসে পড়েছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা করছে যাত্রী ও সাধারণ জনগণ। ভেঙে যাওয়া কোনো স্থানে লাল পতাকাও দেওয়া হয়নি। গাড়ি চালক ও যাত্রী সাধারণ মনে করছে পালাখাল মোড়ে ২টি, দোয়াটি মোড়ে ২টিসহ অন্তত ৪টি স্থানে বাঁক সরলীকরণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। কারণ বাঁক সোজা করতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে সোজা করা হয়নি। কারণ সড়কের বাঁকের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তের গাড়ি দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সড়কটির চাঁদপুর অঞ্চলের ৩২ কিলোমিটারের বাঁক সরলীকরণ, ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষে কচুয়া-গৌরীপুর সড়কে মজবুতীকরণের কাজ চলছে। মজবুতীকরণের কাজ সঠিকভাবে করা ও ভেঙে যাওয়া সড়কটির বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা । গৌরীপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ রাস্তা মেরামতের কাজের বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৭৩০৭৮২৬৪৪) বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।