রকমারি

শহরের প্রত্যেকের তৈলচিত্র আঁকছেন ব্রিটিশ চিত্রকর

মানবজমিন ডেস্ক

১ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন

নিজের প্রতিকৃতি দেখতে কার না ভালো লাগে! আর তা যদি হাজারো মানুষের প্রতিকৃতির মধ্যে জাদুঘরের মতো বিশেষ এক সংগ্রহশালায় থাকে, কি অপূর্ব! শহরবাসীকে এমন সুযোগই করে দিয়েছেন ব্রিটেনের বিশিষ্ট চারুশিল্পী গ্রাহাম হার্ড-উড। স্বদেশীদের ছবি আঁকায় নিজেকে উৎসগ করে এমন প্রতিজ্ঞাই করে বসেছেন ৫৫ বছর বয়সী এই চিত্রকর। ইতিমধ্যে তিনি ১১২টি তৈলচিত্র অঙ্কনের কাজ শেষ করেছেন। আগামী এক দশকে শহরের বাকি ১,৬৮৮টি চিত্র অঙ্কন শেষ করবেন বলে আশাবাদী তিনি।

গ্রাহাম হার্ড-উড থাকেন ব্রিটেনের সবচেয়ে ছোট শহর এসটি ডেভিডস-এ, যার অধিবাসীর সংখ্যা ১,৮০০। নিজের শখ থেকেই তিনি চিত্র অঙ্কন শুরু করেছিলেন। যখন বন্ধবান্ধব আর আপনজনদের কয়েক ডজন চিত্র তিনি অংকন করে ফেললেন, তখনই হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন শহরের শেষ বাসিন্দার চিত্রটি পর্যন্ত তিনি অংকন করেই তবে ক্ষান্ত যাবেন। সেই থেকে শুরু।

গ্রাহাম হার্ড-উড বলেন, এসটি ডেভিডস একটি বিশেষ বৈচিত্রময় শহর। এখানকার অধিবাসীরা মিলেমিশে বাস করে। সবাই আমাকে গ্রহণ করেছে, এটা খুবই ভালো লাগার। এটা (চিত্রাঙ্কন) আমার আবাসভূমির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপায়। তিনি বলেন, আমি ছবি আঁকার কাজ শেষ করে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করবো। একটি সংগ্রহশালায় সবাই তার চিত্র দেখতে পাবে।

প্রতিটি চিত্র অংকনের জন্য একজন ব্যক্তিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় দিতে হয়, তবে নিজের চিত্র অংকনের জন্য সবাই অনন্দের সাথে গ্রাহামকে সময় দিয়ে থাকেন। সাধারণত প্রতি দুই দিনে আঁকা হচ্ছে একেকটি চিত্র। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল।

গ্রাহাম বলেন, চিত্রটি আঁকা শেষে দূর থেকে এটি দানবিয় মনে হবে, তবে কাছ থেকে ঠিকই আপনি বুঝতে পারবেন, এটি হুবহু আপনার প্রতিচ্ছবি। শহরের লোকজন গ্রাহামের এই অকর্ষণীয় কর্মের প্রসংশায় এখন পঞ্চমুখ। আগ্রহের সাথে নিজের চিত্র অঙ্কনে সময় দিচ্ছেন সব শ্রেণি-পেশার লোকেরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status