হিলি স্থলবন্দরে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ টাকায়

দেশি পিয়াজের পর্যাপ্ত জোগান ও বাজারের ভালো সরবরাহ থাকায় ভারতীয় আমদানি করা পিয়াজের দামে ধস নেমেছে। হিলি স্থলবন্দরে প্রতি কেজি পিয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কোয়ালিটি ভেদে ভালোটা ৬ থেকে ৮ টাকার মধ্যে একটু খারাপটা বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকা দরে তার পরেও দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট। এক সপ্তাহ আগেই প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হতো ১৬ থেকে ১৭ টাকার মধ্যে, সেই পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬  থেকে ৮ টাকার মধ্যে, দাম কমে এসেছে কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদা না থাকায় ও দেশি পেয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় পিয়াজের দাম কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান ও তোজাম্মেল হোসেন জানান, হিলি দিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ গাড়ি পিয়াজ আমদানি হচ্ছে, প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজের আমদানি মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলারে, সে মোতাবেক প্রতি কেজি পিয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা  আর বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ টাকা, আমদানি মূল্যের চেয়ে প্রায় কেজি প্রতি ১০ টাকা কম, এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।  দেশে পিয়াজের চাহিদা না থাকার পরও ভারতীয় ব্যবসায়ী পিয়াজ রপ্তানির ওপর সে দেশের সরকারের কাছ থেকে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা বা ইনসেনটিভ পাওয়াই তারা পিয়াজ রপ্তানি করছেন, ফলে আমাদের এলসি বা ঋণ পত্র তাদের কাছে থাকার কারণে চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের পিয়াজ দিচ্ছে এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির  সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। এদিকে ভারত অভ্যন্তরে কানপুর, নাসিক, জোতপুর, বেলর, গুজরাত বিহার, পাটনাসহ বিভিন্ন প্রদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিয়াজ উৎপাদন হওয়ার কারণে সে দেশের বাজারে পিয়াজের ধস নেমেছে গত কয়েক বছরের মধ্যে সে দেশে পিয়াজের দাম নিম্নমুখী। ১ থেকে ২ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কম দামে অর্থাৎ ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে ভারত থেকে পিয়াজ কিনলেও গাড়ি ভাড়া ৭ থেকে ৮ রুপি হওয়াই তারা লোকসানে পড়েছেন। পিয়াজ সরবরাহকারী আইয়ুব আলী জানান, উত্তর বঙ্গে প্রতিদিন হিলি স্থলবন্দর থেকে ২৫ থেকে ৩০ গাড়ি পিয়াজ সরবরাহ করা হতো গত কয়েক দিন থেকে তেমন কোনো পিয়াজ সরবরাহ নেই, কারণ চাহিদা নেই, দেশি পিয়াজের সরবরাহ ভালো ও কম দাম রয়েছে, তবে কিছু পিয়াজ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও ঢাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ॥