দেশ বিদেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা
৪০ ভাগ ছাত্রীই প্রতি মাসে অনুপস্থিত থাকে স্কুলে
স্টাফ রিপোর্টার
২ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চলছে বেহালদশা। স্কুলগুলোতে নেই মাসিকবান্ধব শৌচাগার, পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সুবিধা। সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বাজেট এবং সুবিধা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও নেই। সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০) ছাত্রীদের জন্য পৃথক শৌচাগার (টয়লেট) এবং পর্যাপ্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ও পরিষ্কারের সুবিধা অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও তা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টয়লেটের দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং তাদের শিক্ষা বিষয়ক দক্ষতায় প্রভাব ফেলে। যা এসব শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ গঠনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ে এ সম্পর্কে যথেষ্ট সহযোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জানা গেছে, ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থাপনা, যার মধ্যে উন্নত সুবিধাসহ সাবান, পানির ব্যবস্থা, এবং মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর মেয়েদের শিক্ষা দেয়ার জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না এ নির্দেশনা।
২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন জরিপ অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ছাত্রী তাদের মাসিককালীন সময়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। এতে তারা একদিকে যেমন ক্লাসে পিছিয়ে পড়ছে। ফলে পরীক্ষায় খারাপ ফল করছে। প্রতি ১৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি টয়লেট আছে। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি টয়লেট থাকার কথা।
জরিপ অনুসারে গ্রামীণ এলাকায় (৪৩ শতাংশ) অর্ধেকের কম স্কুলে উন্নত এবং কার্যকরী টয়লেট রয়েছে। যা মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। অপরদিকে মাত্র ২৪ শতাংশ স্কুলে টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৩২ শতাংশ স্কুলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
অপরদিকে শহর এলাকায় ৬৩ শতাংশ স্কুলে উন্নত এবং কার্যকরী টয়লেট যা মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। ৪৭ শতাংশ স্কুলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নেত্রকোনা জেলায় ডর্প বাস্তবায়িত ঋতু প্রকল্পের (২০১৭) জরিপেও প্রায় একই ধরনের তথ্য উঠে আসে। রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষিকা বলেছেন, স্কুলে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সুযোগ-সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যবস্থাপনায় অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা নেই। তাই ইচ্ছা থাকলেও স্কুলগুলোতে মাসিককালীন সঠিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকে না।
স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ডর্প’র গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, ঋতু প্রকল্প বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার ৮টি উপজেলায় কাজ করছে। মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও এই সময়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার জন্য করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে ডর্প। তিনি বলেন, আমরা স্কুলগুলোতে মাসিকবান্ধব টয়লেট নিশ্চিত করতে কাজ করছি। কারণ মাসিকবান্ধব টয়লেট না থাকায় ছাত্রীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও প্রতিটি স্কুলে ছাত্রীদের জন্য মাসিকবান্ধব আলাদা টয়লেট নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে বহু আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ বিষয়ে ২০১৫ সালের ২৩শে জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে স্কুলে মাসিকবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টয়লেটের দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং তাদের শিক্ষা বিষয়ক দক্ষতায় প্রভাব ফেলে। যা এসব শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ গঠনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ে এ সম্পর্কে যথেষ্ট সহযোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জানা গেছে, ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থাপনা, যার মধ্যে উন্নত সুবিধাসহ সাবান, পানির ব্যবস্থা, এবং মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর মেয়েদের শিক্ষা দেয়ার জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না এ নির্দেশনা।
২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন জরিপ অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ছাত্রী তাদের মাসিককালীন সময়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। এতে তারা একদিকে যেমন ক্লাসে পিছিয়ে পড়ছে। ফলে পরীক্ষায় খারাপ ফল করছে। প্রতি ১৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি টয়লেট আছে। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি টয়লেট থাকার কথা।
জরিপ অনুসারে গ্রামীণ এলাকায় (৪৩ শতাংশ) অর্ধেকের কম স্কুলে উন্নত এবং কার্যকরী টয়লেট রয়েছে। যা মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। অপরদিকে মাত্র ২৪ শতাংশ স্কুলে টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৩২ শতাংশ স্কুলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
অপরদিকে শহর এলাকায় ৬৩ শতাংশ স্কুলে উন্নত এবং কার্যকরী টয়লেট যা মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। ৪৭ শতাংশ স্কুলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নেত্রকোনা জেলায় ডর্প বাস্তবায়িত ঋতু প্রকল্পের (২০১৭) জরিপেও প্রায় একই ধরনের তথ্য উঠে আসে। রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষিকা বলেছেন, স্কুলে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সুযোগ-সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যবস্থাপনায় অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা নেই। তাই ইচ্ছা থাকলেও স্কুলগুলোতে মাসিককালীন সঠিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকে না।
স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ডর্প’র গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, ঋতু প্রকল্প বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার ৮টি উপজেলায় কাজ করছে। মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও এই সময়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার জন্য করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে ডর্প। তিনি বলেন, আমরা স্কুলগুলোতে মাসিকবান্ধব টয়লেট নিশ্চিত করতে কাজ করছি। কারণ মাসিকবান্ধব টয়লেট না থাকায় ছাত্রীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও প্রতিটি স্কুলে ছাত্রীদের জন্য মাসিকবান্ধব আলাদা টয়লেট নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে বহু আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ বিষয়ে ২০১৫ সালের ২৩শে জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে স্কুলে মাসিকবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হয়।