বাংলারজমিন
মাল্টা চাষে ভাগ্য বদল
নাজির হোসেন, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
মাল্টা ভালো লাগে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। মাল্টা চাষের সাফল্যে রঙিন কৃষকের মন। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে ফিকে সবুজ বর্ণের এসব লোভনীয় মাল্টা। ১৭ মাসেই পান সফলতা। আর এতেই তিনি নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি রসালো ফল হচ্ছে মাল্টা। ফলটি এক সময় বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হলেও এখন আর পাহাড়ে সীমাবদ্ধ নেই। ইতিমধ্যে এ দেশের আবহাওয়ায় মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক। নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটি অনেক উর্বর এ কারণে মাল্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। আবু বক্কর সিদ্দিকের বাগানে মাল্টায় নেই কোনো ফরমালিন, নেই কোনো ঝুঁকি। তাই এ উপজেলায় মাল্টাও হতে পারে অধিক জনপ্রিয়। কৃষক প্রশিক্ষণ ও উদ্বুব্ধকরণের মাধ্যমে মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাল্টা ব্যাপকহারে চাষ হলে নন্দীগ্রাম উপজেলায় অর্থনৈতিকভাবে বিপ্লব সাধিত হবে বলে কৃষি বিভাগসহ উদ্যোক্তারা আশা করছেন। মাল্টা চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মাটি চাষ উপযোগী ও লাভজনক হওয়ার কারণে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। আর এ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে কৃষি বিভাগ। মাল্টা বাগানে ফল ধরেছে। ২০১৭ সালে নিজ গ্রামে ৫৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলেন তার মাল্টা বাগান।
এটাই এই উপজেলার সর্বপ্রথম মাল্টার বাগান বলে তার দাবি। তার বাগানে পাকিস্তানি জাতের ২৩৫টি মাল্টা গাছ লাগানো হয়েছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে ২৩০টি থাই পিয়ারা, ২২০টি থাই লেবু, ২০টি আম গাছ, ৫টি কমলা, ১২০০টি লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। চারা রোপণের ১৭ মাসেই মাল্টা ধরা শুরু করেছে। মাল্টার ২৩৫টি গাছের মধ্যে ১৬টি গাছে ফল এসেছে। সেই সব গাছে ৫টা থেকে ৫০টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে।
এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে, যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা: মশিদুল হক বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিক একজন মডেল চাষি। মাল্টা চাষ করে সে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।’ মাল্টা চাষের এই সফলতা আগামীতে কৃষককে আরো অনুপ্রেরণা জোগাবে এমনটাই মনে করি আমরা।
এটাই এই উপজেলার সর্বপ্রথম মাল্টার বাগান বলে তার দাবি। তার বাগানে পাকিস্তানি জাতের ২৩৫টি মাল্টা গাছ লাগানো হয়েছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে ২৩০টি থাই পিয়ারা, ২২০টি থাই লেবু, ২০টি আম গাছ, ৫টি কমলা, ১২০০টি লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। চারা রোপণের ১৭ মাসেই মাল্টা ধরা শুরু করেছে। মাল্টার ২৩৫টি গাছের মধ্যে ১৬টি গাছে ফল এসেছে। সেই সব গাছে ৫টা থেকে ৫০টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে।
এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে, যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা: মশিদুল হক বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিক একজন মডেল চাষি। মাল্টা চাষ করে সে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।’ মাল্টা চাষের এই সফলতা আগামীতে কৃষককে আরো অনুপ্রেরণা জোগাবে এমনটাই মনে করি আমরা।