শরীর ও মন
এপ্লাস্টিক এনিমিয়া
একটি রক্তের জটিল রোগ
ডা. মু. জামাল উদ্দিন তানিন
২০২২-০২-১০
এপ্লাস্টিক এনিমিয়া একটি রক্তের জটিল রোগ। এ রোগে অস্থি মজ্জা বা বোনম্যারো সঠিকভাবে রক্ত তৈরি করতে পারে না। রোগটি একেবারে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়স্ক সবার হতে পারে।
বিশেষ করে প্রথমদিকে ধরা পড়লে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে সঠিক চিকিৎসায় কিছু রোগীর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়ার আশাও আছে ইনশাআল্লাহ। আর বাকিদের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার লক্ষণ হলো শরীরে লাল নীল কালো দাগ, মাড়ি দিয়ে রক্তপাত। অধিক দুর্বলতা, শরীর ফ্যাকাসে সাদাটে হয়ে যাওয়া, হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, বারবার রক্ত নিতে হওয়া। এর সঙ্গে জ্বর আসতে পারে। লক্ষণগুলো একটি একটি বা একাধিক লক্ষণ একসঙ্গে আসতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত-পায়ের হাড়ের গঠনে সমস্যা থাকতে পারে। নখের গঠন অস্বাভাবিক হতে পারে।
এপ্লাস্টিক এনিমিয়া ডায়াগনোসিসের জন্য প্রাথমিকভাবে রক্তের সিবিসি পিবিএফ পরীক্ষা করা হয়। এখানে হিমোগ্লোবিন, প্লেটিলেট, শ্বেত কণিকা বা WBC যেকোনো একটি বা দুটি বা তিনটিই কমে যেতে পারে। বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের উপর নির্ভর করে বোনম্যারো ও ট্রেফাইন বায়োপ্সি পরীক্ষা করা হয়। বায়োপ্সি স্যাম্পল, রক্ত বা বোনম্যারো ও ট্রেফাইন বায়োপ্সির স্যাম্পল থেকে ফ্লো সাইটোমেট্রি, সাইটোজেনেটিক্স পরীক্ষা রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার চিকিৎসা হলো বিভিন্ন মাত্রার শক্তিশালী কেমো ইমিউন থেরাপির ওষুধ। ইনজেকশনের মাধ্যমে বা মুখে খাওয়ার মাধ্যমে ওষুধগুলো নিতে হয়। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টে যেতে হবে।
বাংলাদেশেই এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার সকল চিকিৎসা হচ্ছে। সব বিভাগীয় শহরেই সম্মানিত হেমাটোলজিস্ট বা রক্তরোগ বিশেষজ্ঞগণ এই রোগের ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করছেন। চট্টগ্রাম শহরেও এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার রোগ নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা এবং ওষুধ দেয়ার সুবিধা রয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত কোনো সাহায্যের দরকার হলে আপনার নিকটস্থ সম্মানিত রক্তরোগ ও রক্ত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।
লেখক: এমবিবিএস,এমডি (হ্যামাটোলোজি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। রক্তরোগ, রক্ত ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া ও রক্তস্বল্পতা বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: (১) পার্কভিউ হাসপাতাল চট্টগ্রাম। সেল-০১৯৬৭০২২৩৩৩।
(২) ন্যাশনাল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম। সেল-০১৮২৭৪০২৩২২।
বিশেষ করে প্রথমদিকে ধরা পড়লে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে সঠিক চিকিৎসায় কিছু রোগীর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়ার আশাও আছে ইনশাআল্লাহ। আর বাকিদের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার লক্ষণ হলো শরীরে লাল নীল কালো দাগ, মাড়ি দিয়ে রক্তপাত। অধিক দুর্বলতা, শরীর ফ্যাকাসে সাদাটে হয়ে যাওয়া, হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, বারবার রক্ত নিতে হওয়া। এর সঙ্গে জ্বর আসতে পারে। লক্ষণগুলো একটি একটি বা একাধিক লক্ষণ একসঙ্গে আসতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত-পায়ের হাড়ের গঠনে সমস্যা থাকতে পারে। নখের গঠন অস্বাভাবিক হতে পারে।
এপ্লাস্টিক এনিমিয়া ডায়াগনোসিসের জন্য প্রাথমিকভাবে রক্তের সিবিসি পিবিএফ পরীক্ষা করা হয়। এখানে হিমোগ্লোবিন, প্লেটিলেট, শ্বেত কণিকা বা WBC যেকোনো একটি বা দুটি বা তিনটিই কমে যেতে পারে। বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের উপর নির্ভর করে বোনম্যারো ও ট্রেফাইন বায়োপ্সি পরীক্ষা করা হয়। বায়োপ্সি স্যাম্পল, রক্ত বা বোনম্যারো ও ট্রেফাইন বায়োপ্সির স্যাম্পল থেকে ফ্লো সাইটোমেট্রি, সাইটোজেনেটিক্স পরীক্ষা রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার চিকিৎসা হলো বিভিন্ন মাত্রার শক্তিশালী কেমো ইমিউন থেরাপির ওষুধ। ইনজেকশনের মাধ্যমে বা মুখে খাওয়ার মাধ্যমে ওষুধগুলো নিতে হয়। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টে যেতে হবে।
বাংলাদেশেই এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার সকল চিকিৎসা হচ্ছে। সব বিভাগীয় শহরেই সম্মানিত হেমাটোলজিস্ট বা রক্তরোগ বিশেষজ্ঞগণ এই রোগের ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করছেন। চট্টগ্রাম শহরেও এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার রোগ নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা এবং ওষুধ দেয়ার সুবিধা রয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত কোনো সাহায্যের দরকার হলে আপনার নিকটস্থ সম্মানিত রক্তরোগ ও রক্ত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।
লেখক: এমবিবিএস,এমডি (হ্যামাটোলোজি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। রক্তরোগ, রক্ত ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া ও রক্তস্বল্পতা বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: (১) পার্কভিউ হাসপাতাল চট্টগ্রাম। সেল-০১৯৬৭০২২৩৩৩।
(২) ন্যাশনাল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম। সেল-০১৮২৭৪০২৩২২।