ফেসবুক ডায়েরি
জরুরিভাবে টিকা উৎপাদন এবং বিতরণ বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই
ডা. মনিকা বেগ
২০২১-০৭-২৮
COVID ভাবনা ১:
বিশ্বব্যাপী COVID-19 ভ্যাকসিনগুলির বিতরণে একটি মর্মান্তিক ভারসাম্যহীনতা তৈরী হয়েছে।
এই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু এর ৭৫% এরও বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ হয়েছে মাত্র দশটি দেশে!
যেসব দেশ ভ্যাকসিন পেয়েছে, সেসব দেশে আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার আশাতীত ভাবে কমেছে। তাই তারা পর্যায়ক্রমে লক-ডাউন তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে যাচ্ছে, আর সচল হচ্ছে তাদের অর্থনীতির চাকাও।
অন্যদিকে, যেসব দেশ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না, সেসব দেশে আক্রান্তের এবং মৃত্যুহার আশংকাজনক ভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে তারা নতুন করে লক-ডাউন আরোপ করছে। জীবন এবং জীবিকার টানা-পড়েনে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে, মধ্যবিত্তের সংখ্যা সংকুচিত হচ্ছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, আমাদের জরুরিভাবে COVID-19 ভ্যাকসিনের উৎপাদন এবং বিতরণ বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তার জন্য যা যা বাঁধা আছে, যেমন পেটেন্ট এবং ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত, সেগুলোকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
ধনী এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ গুলোর ভূমিকা এখানে মুখ্য। সাথে প্রয়োজন ভুক্তভোগী দেশগুলোর সরকারের রাজনৈতিক সততা ও সদিচ্ছা, এবং জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর সাথে এক জোট হয়ে ধনী এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ গুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করা।
ধনী এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ গুলোর মাথায় কোন না কোন ভাবে ঢুকাতেই হবে যে, পৃথিবীর কোন দেশই নিরাপদ ন়য়, যতক্ষণ না সব দেশ নিরাপদ। ওরা ওদের সমগ্র জনসাধারণকে ভ্যাকসিন দিয়ে ডুবিয়ে দিলেও ওদের সেই নিরাপত্তা একটি কাঁচের ঘরের মতই ঠুনকো। অপেক্ষা শুধু ভ্যাকসিন না পাওয়া পৃথিবীর কোন কোণায় এই ভাইরাসেরই একটি নতুন deadly variant এর জন্মের। যার আঘাতে ওদের কাঁচের ঘরগুলো নিমেষেই গুড়িয়ে যাবে।
সবাইকে বুঝতে এবং বোঝাতে হবে যে এই মহামারীটি একটি অভূতপূর্ব সংকট যা মোকাবেলা করতে প্রয়োজন অভূতপূর্ব পদক্ষেপের।
Business as usual won't work anymore.
[লেখকঃ প্রধান এবং বৈশ্বিক সমন্বয়ক (অবঃ)
এইচআইভি/এইডস সেকশন,
জাতিসংঘ সদর দপ্তর,
ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।
লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া]
বিশ্বব্যাপী COVID-19 ভ্যাকসিনগুলির বিতরণে একটি মর্মান্তিক ভারসাম্যহীনতা তৈরী হয়েছে।
এই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে, কিন্তু এর ৭৫% এরও বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ হয়েছে মাত্র দশটি দেশে!
যেসব দেশ ভ্যাকসিন পেয়েছে, সেসব দেশে আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার আশাতীত ভাবে কমেছে। তাই তারা পর্যায়ক্রমে লক-ডাউন তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে যাচ্ছে, আর সচল হচ্ছে তাদের অর্থনীতির চাকাও।
অন্যদিকে, যেসব দেশ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না, সেসব দেশে আক্রান্তের এবং মৃত্যুহার আশংকাজনক ভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে তারা নতুন করে লক-ডাউন আরোপ করছে। জীবন এবং জীবিকার টানা-পড়েনে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে, মধ্যবিত্তের সংখ্যা সংকুচিত হচ্ছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, আমাদের জরুরিভাবে COVID-19 ভ্যাকসিনের উৎপাদন এবং বিতরণ বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তার জন্য যা যা বাঁধা আছে, যেমন পেটেন্ট এবং ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত, সেগুলোকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
ধনী এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ গুলোর ভূমিকা এখানে মুখ্য। সাথে প্রয়োজন ভুক্তভোগী দেশগুলোর সরকারের রাজনৈতিক সততা ও সদিচ্ছা, এবং জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর সাথে এক জোট হয়ে ধনী এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ গুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করা।
ধনী এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ গুলোর মাথায় কোন না কোন ভাবে ঢুকাতেই হবে যে, পৃথিবীর কোন দেশই নিরাপদ ন়য়, যতক্ষণ না সব দেশ নিরাপদ। ওরা ওদের সমগ্র জনসাধারণকে ভ্যাকসিন দিয়ে ডুবিয়ে দিলেও ওদের সেই নিরাপত্তা একটি কাঁচের ঘরের মতই ঠুনকো। অপেক্ষা শুধু ভ্যাকসিন না পাওয়া পৃথিবীর কোন কোণায় এই ভাইরাসেরই একটি নতুন deadly variant এর জন্মের। যার আঘাতে ওদের কাঁচের ঘরগুলো নিমেষেই গুড়িয়ে যাবে।
সবাইকে বুঝতে এবং বোঝাতে হবে যে এই মহামারীটি একটি অভূতপূর্ব সংকট যা মোকাবেলা করতে প্রয়োজন অভূতপূর্ব পদক্ষেপের।
Business as usual won't work anymore.
[লেখকঃ প্রধান এবং বৈশ্বিক সমন্বয়ক (অবঃ)
এইচআইভি/এইডস সেকশন,
জাতিসংঘ সদর দপ্তর,
ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।
লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া]