প্রথম পাতা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
৮০৩২ রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২০১৮-০২-১৭
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রাথমিক তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। তালিকায় ১ হাজার ৬৭৩টি পরিবারের আট হাজার ৩২ জনের নাম রয়েছে। তালিকা পেয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এটি যাছাই-বাছাই করবে। তারপর দুইদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। গতকাল বিকালে সচিবালয়ে দেশ দু’টির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সীমান্তের জিরো লাইনে যেসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন তাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে জেলা প্রশাসক পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। সেখানে চট্টগ্রামের জেলা
প্রশাসক অংশ নেবেন। সেই বৈঠকে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা কোন ধরনের নিরাপত্তায় থাকবেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে আর ফেরত না আসে সে ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি। মিয়ানমারের মন্ত্রী লে. জেনারেল চাও সোয়ে আমাদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তারা তিনটি ধাপ নির্ধারণ করেছেন। ধাপগুলো হলো- তাদের ফিরিয়ে নেয়া, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং পরবর্তীতে যাতে রোহিঙ্গারা জীবন ধারণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন ঠিক হয়নি। এদিকে বৈঠকে ইয়াবা উৎপাদন ও পাচারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে মিয়ানমারের অংশে ৪৯টি ইয়াবা কারখানা শনাক্ত করেছি। সে তথ্যগুলো মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং কারখানাগুলো ভেঙে দিতে দাবি জানিয়েছি। জবাবে মিয়ানমার বলেছে, আমাদের প্রস্তাবে তারা রাজি আছে। এক্ষেত্রে তারা আমাদেরও সহযোগিতা চেয়েছে। একই সঙ্গে বৈঠকে বর্ডার কিলিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বর্ডার কিলিং বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের ভাষণে প্রস্তাবকৃত ৫ দফা ও কফি আনানের রিপোর্টসহ আরো ৫ দফাসহ মোট ১০টি দফা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সংকটসহ সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় গত বছরের শেষেরদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মিয়ানমার সফর করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি দেশটির কার্যকর নেতা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন। তার সফরের ফিরতি সফর হিসেবে শুক্রবার দুপুরে তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জেনারেল চাও সোয়ে।
প্রশাসক অংশ নেবেন। সেই বৈঠকে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা কোন ধরনের নিরাপত্তায় থাকবেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে আর ফেরত না আসে সে ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি। মিয়ানমারের মন্ত্রী লে. জেনারেল চাও সোয়ে আমাদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তারা তিনটি ধাপ নির্ধারণ করেছেন। ধাপগুলো হলো- তাদের ফিরিয়ে নেয়া, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং পরবর্তীতে যাতে রোহিঙ্গারা জীবন ধারণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন ঠিক হয়নি। এদিকে বৈঠকে ইয়াবা উৎপাদন ও পাচারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে মিয়ানমারের অংশে ৪৯টি ইয়াবা কারখানা শনাক্ত করেছি। সে তথ্যগুলো মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং কারখানাগুলো ভেঙে দিতে দাবি জানিয়েছি। জবাবে মিয়ানমার বলেছে, আমাদের প্রস্তাবে তারা রাজি আছে। এক্ষেত্রে তারা আমাদেরও সহযোগিতা চেয়েছে। একই সঙ্গে বৈঠকে বর্ডার কিলিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বর্ডার কিলিং বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের ভাষণে প্রস্তাবকৃত ৫ দফা ও কফি আনানের রিপোর্টসহ আরো ৫ দফাসহ মোট ১০টি দফা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সংকটসহ সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় গত বছরের শেষেরদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মিয়ানমার সফর করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি দেশটির কার্যকর নেতা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন। তার সফরের ফিরতি সফর হিসেবে শুক্রবার দুপুরে তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জেনারেল চাও সোয়ে।