দেশ বিদেশ
মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে
স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবারঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটের দিন মূল্যস্ফীতি নিয়ে সুখবর দিলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সংস্থাটি জানায়, মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ। সোমবার (২রা জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিবিএস জানায়, এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা মে মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত খাতেও মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। অন্যদিকে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। মে মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩০ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ওদিকে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৯ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বিবিএস জানায়, এপ্রিল মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে আলু, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি ও মসলার দাম। বিবিএসের হিসাবে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হারও কমেছে।
এদিকে বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।