বাংলারজমিন
আখাউড়া স্থলবন্দরে ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবারভারতের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ৬ পন্য আমদানী নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রয়েছে দেশের অন্যতম রপ্তানীমুখী আখাউড়া স্থল বন্দরে। অন্তত ৩০ শতাংশ রপ্তানি বাণিজ্য কম হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যাতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হবে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। চলতি অর্থবছরে গেলো এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয় ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য- যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ২৬ কোটি টাকা বেশি। গত শনিবার ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়া ও মিজোরামের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত জুস, তুলা, প্লাস্টিক, পিভিসি সামগ্রী ও কাঠের ফার্নিচার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের ফার্নিচার ছাড়া বাকি সবকটি পণ্যই নিয়মিত রপ্তানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে-যা বন্দরের রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন রবিবার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে। এদিন তিনট্রাক হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয় ভারতে। গতকাল সোমবার সকালে ৭ ট্রাক ভোজ্যতেল ও ৬ ট্রাক হিমায়িত মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই বন্দর দিয়ে যে কয়টি পণ্য বেশি রপ্তানি হয়-তার সবগুলোই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, আগে যেখানে ৩০/৪০ গাড়ি মাল যেত তা কমে এখন ১০ গাড়িতে চলে এসেছে। এতে বন্দরের রাজস্ব আয় কমবে বলেও জানান তিনি।