প্রথম পাতা
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক পুনর্বহাল
স্টাফ রিপোর্টার
১২ মার্চ ২০২৫, বুধবার
প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করেছে সরকার। এতে তাকে দেয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর সাত বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত তালিকার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। কেবল শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে বদরুদ্দীন উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে তিনি আগেই এক বিবৃতির মাধ্যমে পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এর আগে সরকারি-বেসরকারিভাবে দেয়া কোনো পদক বা পুরস্কার গ্রহণ করেননি। এবার অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত স্বাধীনতা পুরস্কারও তিনি গ্রহণ করছেন না।
অন্যদিকে এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর পুরস্কার দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। তিনি ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত হয়েছিলেন। পুরস্কারের জন্য মনোনীত বাকিরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান (পপ সম্রাট আজম খান)। তারা সবাই মরণোত্তর এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (মরণোত্তর) ২০০৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার পুরস্কার বাতিল করে সেই রায়ে তাকে দেয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা নেই। এ জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করা হয়েছে। ওদিকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীকে এবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হচ্ছে এমন আলোচনা থাকলেও সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা, স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
পাঠকের মতামত
এটি তাঁর প্রাপ্য ছিল।
যেহেতু কর্ণেল ওসমানী সাহেব কে আগেই দেওয়া হয়েছে, তাই নোয়াখালী কৃতি সন্তান জনাব ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ কে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য এবার স্বাধীনতা পুরষ্কার দেওয়া হোক।