দেশ বিদেশ
হল মার্কের মামলায় গ্রেপ্তার এস কে সুর
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার
হল মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সিআইডি’র আর্থিক অপরাধ ইউনিটের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই আদেশ দেন।
এদিন সকালে এস কে সুরকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। সাত বছর আগে হল মার্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে করা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সিআইডি। দুদকের ২০১৮ সালের ২৬শে ডিসেম্বরের ওই মামলার এফআইআরে এস কে সুরের নাম না থাকলেও, সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক সায়েদুর রহমান তার আবেদনে উল্লেখ করেন, হল মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির সময় এস কে সুর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। তাই ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। এ সময় সুরের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে ছিলেন না। আদালত তার বক্তব্য শুনতে চাইলে তিনি জানতে চান- তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে আদালতে উল্লেখ করেন। এরপর আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সম্পদ বিবরণী জমা না দেয়ায় দুদকের করা গত বছরের ২৩শে ডিসেম্বরের মামলায় গত ১৪ই জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় এস কে সুরকে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে তার লকার থেকে ১.০৫ কেজি স্বর্ণ ও ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার, ৫৫ হাজার পাউন্ড এবং ৭০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানতের রশিদ জব্দ করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিন উভয়েই হল মার্ক গ্রুপে কর্মরত ছিলেন। তুষার আহমেদের বক্তব্য অনুসারে, তিনি হল মার্ক গ্রুপের জিএম (কমার্শিয়াল) হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। হল মার্ক গ্রুপে চাকরির ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে তাদের যৌথ নামে ঢাকা ব্যাংক, আসলাম উদ্দিনের একক নামে ঢাকা ব্যাংক ও তুষার আহমেদের একক নামে ঢাকা ব্যাংক প্লাটিনাম হিসাব পরিচালিত হয়েছে। এ অবস্থায় আসামি তুষার আহমেদ, মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন, সুমন ভূঁইয়া অপরাধলব্ধ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক লেয়ারিং করে অবৈধ উৎস গোপন করার অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন একটি মামলা দায়ের করেন।