শেষের পাতা
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে রিট
স্টাফ রিপোর্টার
১০ মে ২০২৪, শুক্রবারলন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের সাম্রাজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত) ও কমিশনের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও এ বিষয়ে বিবাদীরা কেন অনুসন্ধান করেনি তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান না করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, গত ২০শে ফেব্রুয়ারি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে মানবজমিনে ও অন্য একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত ২৮শে এপ্রিল প্রকাশিত ওই সংবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করি। ফল না পেয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চেয়ারম্যান, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত) ও সচিব বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠাই। তারপরেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুদক অনুসন্ধানের উদ্যোগ না নেয়ায় এ রিট দায়ের করেছি। তিনি বলেন, আগামী রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি (মেনশন স্লিপ) জমা দেয়া হবে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য নিয়ে দৈনিক মানবজমিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২৬০টি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান মিলেছে বৃটেনের রাজধানী লন্ডনসহ বড় বড় শহরগুলোতে।
বৃটেনের বর্তমান বাজারমূল্যে বাড়িগুলোর মোট মূল্য প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি । কোম্পানি হাউস তথ্য বলছে, ২৬০টি প্রপার্টি ক্রয় করতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ব্যয় করেছেন প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন বৃটিশ পাউন্ড যা বাংলদেশ মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। বাড়ির মোট সংখ্যার ১৭৯টি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে জেডটিএস (তঞঝ) প্রপার্টিজের আওতায়। বাকি বাড়িগুলো মন্ত্রীর অন্য প্রপার্টিজ কোম্পানিগুলোর আওতায়। জেডটিএস (তঞঝ) প্রপার্টিজ এর একক মালিক রয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিজে। ২৬০টি বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি বাড়িটির বর্তমান মূল্য হচ্ছে প্রায় ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা।