ফুলগাজীতে জালভোটের মহোৎসব

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজীতে জালভোট প্রদানের সময় ১৯টি সিলমারা ব্যালট জব্দ ও ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।  গতকাল উপজেলায় বন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোলিং অফিসারের সামনে থেকে ব্যালট জব্দ করেন প্রিজাইডিং অফিসার ফয়েজ উল্যাহ। তিনি বলেন, এক সাংবাদিক বুথে ঢুকে দেখতে পান পোলিং অফিসারের সামনে সিলমালা ব্যালট পেপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন মজুমদারের কাপ-পিরিচ প্রতীকের ১৯টি ব্যালট জব্দ করে বাতিল করা হয়। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, একই কেন্দ্রে প্রতিটি বুথে ১৪-১৫ বছরের ছেলেদের নির্বিঘ্নে জালভোট দিতে দেখা গেছে। পুলিশ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেও তেমন কোনো ভূমিকা রাখছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার পর দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ৮-১০ শতাংশ ভোট পড়ে। দুপুর ১টার পর থেকে ভোটার সংখ্যা বাড়াতে প্রায় সব কেন্দ্রেই জালভোট দেয়ার মহোৎসব শুরু হয়। 

সরকারি দল সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদারের কাপ-পিরিচের পক্ষে সিল মারতে দেখা গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ফুলগাজী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দুপুর ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রে তেমন ভোটার দেখা যায়নি। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নয়ন দেবনাথ বলেন, তার কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮৪৬ ভোটারের মধ্যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪১৮ ভোট কাস্ট হয়েছে।

তার কেন্দ্রে ভোট শুরুর ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ৭নং বুথে ৮টি ও ৬নং বুথে ৭টি ভোট পড়েছে।  জাল ভোটের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, ভোটে প্রভাব বিস্তার করায় দরবারপুর ইউনিয়ন থেকে ১১ জন ও হাজী আমির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দু’জনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত তার উপজেলার ৩২টা কেন্দ্রে প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।