বিশ্বজমিন
বৃটেন থেকে কি পরিমাণ অভিবাসী নেবে রুয়ান্ডা তা নিশ্চিত নয়
মানবজমিন ডেস্ক
৮ মে ২০২৪, বুধবারছোট ছোট বোটে করে যেসব অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বৃটেনে প্রবেশ করে আশ্রয় চেয়েছেন, তাদেরকে রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেয়ার স্কিম হাতে নিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কিন্তু কি পরিমাণ অভিবাসী গ্রহণ করতে পারবে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারে না রুয়ান্ডা। বৃটেনের হিসেবে প্রায় ৫২ হাজার এমন আশ্রয়প্রার্থী আছেন। তাদেরকে রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দিতে চায় বৃটেন। কিন্তু কিগালি বলেছে, তারা এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে ‘হাজারো’ হতে পারে এই সংখ্যা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, রুয়ান্ডা সরকারের মুখপাত্র ইয়োল্যান্ডে মাকোলো বলেছেন, রুয়ান্ডা প্রথমেই মাত্র ২০০ অভিবাসীকে নেবে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা একটি ভুল ধারণা। তিনি বলেন, আমাদের যাবজ্জীবনের অংশীদার বৃটেন যেসব অভিবাসীকে পাঠাবে আমরা তাদেরকে গ্রহণে সক্ষম। তবে প্রথম বা দ্বিতীয় বছরে কতো হাজার অভিবাসী আমরা নিতে পারবো তা বলতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে অভিবাসীদের থাকার জন্য যে আবাসন তৈরি করা হয়েছে তা পরিদর্শন করেছেন সাংবাদিকরা। এটার নাম হলো- হোপ হোস্টেল। এটি ২০০ মানুষের স্থান সংকুলানের জায়গা। কিগালি ও আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনার সঙ্গে এ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছি আমরা। তাদের সঙ্গে একবার চুক্তি হয়ে গেলে বলতে পারবো কি পরিমাণ অভিবাসী আসবেন। তাই ঠিক ২০০ অভিবাসী নেবো আমরা, এটা ভুল ধারণা।
গার্ডিয়ান আরও লিখেছে, যেসব মানুষকে রুয়ান্ডা পাঠানো হবে তাদেরকে পাঠানোর পরেও আশ্রয়ের প্রার্থনা প্রক্রিয়াধীন থাকবে। যদি তা সফল হয় তাহলে তাদেরকে দেশে অভিবাসীর মর্যাদা দেয়া হবে। যদি তা না হয় তাহলে তাদেরকে তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে অথবা রুয়ান্ডায় স্থাবর হতে হবে। রুয়ান্ডা সরকারের সঙ্গে বিতর্কিত এই চুক্তি ২০২২ সালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল চালু করেন। উদ্দেশ্য, বোটে করে এবং অবৈধ পথে যারা বৃটেনে গিয়েছেন তাদেরকে রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেয়া। এ খাতে এরই মধ্যে খরচ হয়েছে কমপক্ষে ৩০ কোটি পাউন্ড। এ জন্য রুয়ান্ডাকে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে কথা না বলতে সমালোচকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রুয়ান্ডা সরকারের মুখপাত্র মাকোলো। তিনি বলেন, রুয়ান্ডায় বসবাস করা কোনো শাস্তি নয়। আবহাওয়া সহ এটি একটি সুন্দর দেশ। বৃটেনের বর্তমান কনজারভেটিভ সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে বিরোধী লেবার দল। দলটির নেতা কিয়ের স্টারমার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে লেবার বিজয়ী হলে রুয়ান্ডা স্কিম ধরে রাখবে না বৃটেন। দলটির জাতীয় প্রচারণা বিষয়ক সমন্বয়কারী প্যাট ম্যাকফাদেন বলেন, রুয়ান্ডা স্কিমে যে অর্থ খরচ করা হবে তা দিয়ে ক্রিমিনাল গ্যাংদের দমন-পীড়নে যথাযথ অপারেশনে ব্যবহার করা হবে।
রুয়ান্ডাও একসময় অষ্ট্রলিয়া হয়ে যাবে। মন খারাপের কিছু নাই। অভিবাসীরাই তখন রুয়ান্ডা শাসন করবে, এটাই বাস্তবতা।