বিশ্বজমিন
অস্ট্রেলিয়ায় নারীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা বন্ধে আইন করার দাবিতে জোর আন্দোলন
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ৭:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
নৃশংসভাবে নারী হত্যার পর অস্ট্রেলিয়াতে কঠিন আইন বাস্তবায়নের পক্ষে বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করছে জনগণ। নারী-পুরুষের লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করে দেশটির জাতীয় নীতিতে জরুরীভিত্তিতে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নারীর ওপর সহিংসতা দেশটিতে সামাজিক সংকট তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। রোববার এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়াতে প্রতি চার দিনে একজন নারীকে হত্যা করা হচ্ছে। এই ধারা এই বছর এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়েছে। মূলত নারী হত্যার এই পরিসংখ্যানকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে জনগণ। শনিবার দেশটির অ্যাডেলেডে পার্লামেন্টের সামনে নারীদের প্রতি নৃশংসতা ঠেকাতে কঠিন আইন বাস্তবায়নের দাবিতে র্যালি করেন প্রায় ৩ হাজার বিক্ষোভকারী। অন্যদিকে একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্রিসবেন, মেলবোর্নের সাধারণ জনতা।
নাইন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট এবং নিউ ক্যাসেল শহরেও বিক্ষোভ করেছে জনগণ। দেশটিতে চলমান এই আন্দোলনের সমন্বয়ক মার্টিনা ফেরারা বলেন, এসব নির্যাতন থেকে যেসব নারী রক্ষা পেয়েছেন, তাদের বিষয়ে রিপোর্টিং দাবি করি।
তিনি বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারি নীতিতেও আচরণগত ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন। আলবানিজ আরো বলেন, শুধু একজন নারী হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেবে আমাদের সার্বিক আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন। বিক্ষোভকারীদের নারীর প্রতি সহিংসতাকে জাতীয় জরুরি ইস্যু হিসেবে উত্থাপনের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য আমাদের কয়েক মাস কাজ করতে হবে। আমাদের জরুরিভাবে এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। তবে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতায় দেশটির রয়েল কমিশনের হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ড্রেফাস। দেশটিতে এমন লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতাকে বার বার মহামারি হিসেবে উল্লেখ করলেও এ বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে ২০২১ সালে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করেন বিক্ষোভকারীরা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং মলে ছুরিকাঘাতে নিহত ছয় জনের মধ্যে পাঁচজনই নারী। পুলিশের দাবি দেশটিতে নৃশংসতায় নিহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বেশির ভাগই নারী।