অনলাইন
খালেদা জিয়া মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০২ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল। বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াবে। সেই ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইবো না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।
এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সরকার প্রধান। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী চলবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাচ্ছে।
ডাল-ভাত দিচ্ছেন, ঘর দিচ্ছেন, “দৃশ্যমান” উন্নয়ন করছেন তাই মানুষ অভাবে আত্মহত্যা করছে, উন্নয়ন বাদ দিয়ে বিদেশ চলে যেতে কেহ বঙ্গোপসাগরে মরছে আর কেহ ভু-মধ্যসাগরে। আবার কেহ মরুভুমিতে, কেহ বসনিয়ার জঙ্গলে ভবিষ্যতের জন্য দিশেহারা। ইরাকী-সিরিয়ানদারদের সাথে রিফিউজি হয়েছে অনেকে!
সত্য বলেছেন এখন আমরা গোশত ভাত খাচ্ছি কি মজা!
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঠেলায় বাজারে যেতেই ভয় পাই। ২০০৩ সালে ৩০ টাকায় ১ পিস ছোট ইলিশ মাছ কিনে মেসে চার জন রান্না করে খেতাম। এখোনো স্পষ্ট মনে আছে। বিগত আট মাসে কোন ইলিশ মাছ কিনি নাই। শুধু দাম জিজ্ঞেস করে চলে আসি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম মাত্র।
আঠার বছর পরে এসে আপনার হঠাৎ এই কথা মনে হল!
২০০২ সালে যে চাকুরীতে ৫ হাজার টাকা বেতন দেয়া হতো, ঠিক সেই একই চাকুরীতে কি এখন ১ লাখ বিশ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়? তখন ১ ভরি স্বর্ণের দাম ছিলো ৫ হাজার টাকা; এখন ১২০,০০০ টাকা। যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে দেশের উন্নতিটা ঠিক কোথায়!
চমৎকার....
মাথাপিছু ঋণ কত?