অর্থ-বাণিজ্য
ঈদের আগে কমলো রেমিট্যান্স
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৩১ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ৭:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৪ অপরাহ্ন
সাধারণত ঈদের আগে আর রমজান মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ে। তবে হুন্ডির চেয়ে ব্যাংকে ডলারের দর কম থাকায় বৈধ পথে মার্চ মাসের প্রথম ২৯ দিনে রেমিট্যান্স আগের মাসের তুলনায় কমেছে। আলোচ্য সময়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টকা। যেখানে এর আগের মাসের একই সময়ে এসছিল ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। অর্থাৎ আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৩৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৯ দিনে বৈধপথে ১৮১ কোটি ৫১ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি। দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার বা ৬৮৮ কোটি টাকার বেশি।
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ডলার, আর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
অপরদিকে সমাপ্ত ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
এর আগে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।
এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চসংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।