ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

সিলেটে সংবাদ সম্মেলন

জনির পিতৃপরিচয় অস্বীকার বিশ্বনাথের আব্দুল খালিকের

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

সিলেটের বিশ্বনাথের একাভীম (গহরপুর) গ্রামের ধীতপুর মৌজার মাহবুবুল আলম জনির পিতৃপরিচয় অস্বীকার করেছেন একই একাভীম ধীতপুরের আব্দুল খালিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এই অস্বীকৃতির কথা জানান তিনি। এ বিষয়ে সমপ্রতি নোটারি পাবলিকে একটি হলফনামা এফিডেভিটও করেছেন বলেও জানান তিনি। আব্দুল খালিক জানান, তার নিজগ্রাম বিশ্বনাথের একাভীম (গহরপুর) গ্রামের ধীতপুর মৌজায় তিনি ছাড়া তার সমবয়েসী ও সমসাময়িক আব্দুল খালিক নামে কেউই নেই। এই গ্রামে একমাত্র তিনিই আব্দুল খালিক নামে পরিচিত। তিনি বলেন, তার একমাত্র স্ত্রী সোনারা বেগম ছাড়া অন্য কাউকে তিনি কখনো বিয়ে করননি। সোনারা বেগমের গর্ভজাত তার তিনটি সন্তান রয়েছে, যারা হচ্ছে- রাহেলা বগম (২৩) ও সাহেলা বেগম (২২) এবং আবুল মবিন কিবরিয়া (১৭)। এই তিন সন্তান ছাড়া তার ঔরসজাত অন্য কোনো সন্তানই নেই। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল খালিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- তার গ্রাম একাভীম ধীতপুরে বসবাসরত পিতৃপরিচয়হীন মাহবুব আলম জনি একজন দাগী অপরাধী ও জালিয়াত চক্রের লোক। সে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি নং-২৩৬৮৪৯২৯০২) ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে (আব্দুল খালিককে) পিতা সাজিয়ে দেশ ও সমাজে নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে।

বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন মামলা ও দলিল পত্রে সে তার পিতা আব্দুল খালিক বলে লিপিবদ্ধ করছে। অথচ আমি আব্দুল খালিক আদৌ তার কোনো পিতা নই, তার কথিত মাতা হেনা বেগমকে আমি কোনোদিন স্ত্রী হিসেবে গ্রহণও করিনি। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল খালিক বলেন, পিতৃপরিচয়হীন মাহবুবুল আলম জনি ও তার স্ত্রী রফনা বেগম সম্প্রতি আমাকে তার (জনির) পিতা পরিচয় দিয়ে একটি জাল দলিল সৃষ্টি করে অন্যের ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা- মোকদ্দমাও হয়েছে। মাহবুবুল আলম জনি নিজেকে (আমি) আব্দুল খালিকের পুত্র পরিচয় দিয়ে ২০২৩ সালের ২৭শে নভেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে একটি সি.আর মামলা করে। তদন্তে মামলাটি মিথ্যা প্রণানিত হওয়ায় আদালত তা খারিজ করে দেন। এই মামলার বিবাদী আশরাফুজ্জামান আইজ্যাক পরবর্তীতে জনির বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় দেয়া মিথ্যা তথ্যে আমাকে আব্দুল খালিককে ওই জনির পিতা বলা হয়। এতে করে আমাকে অহেতুক সামাজিক বিভেদে জড়িয়ে দেয়া হয়। আব্দুল খালিক অভিযোগ করে আরও বলেন, নানা অপরাধ-অপকর্মের দায়ে মাহবুবুল আলম জনির বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়েছে এবং সে একাধিকবার জেলও খেটেছে। বর্তমানেও তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা ও বিভিন্ন থানায় জালিয়াতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা চলমান ও তদন্তাধীন রয়েছে। এর আগেও উক্ত মাহবুবুল আলম জনি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলায় দুইবার জেল খেটেছে। মাহবুবুল আলম জনি আমাকে মিথ্যাভাবে পিতা পরিচয় দিয়ে একাধিক মামলাসহ জাল দলিলাদি সৃষ্টি করে মানুষের জায়গাজমি জবর দখলসহ লোজনকে নানাভাবে করছে। মিথ্যাভাবে আমাকে তার পিতা পরিচয় দেয়ায় আমি এবং আমার স্ত্রী-সন্তানদেরকে সামাজিকভাবে নানা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমার মৃত্যুর পর আমার স্ত্রী সন্তানরা উত্তরাধিকার নিয়েও নানা আইনি জটিলতার মধ্যে পড়বে। আমার সন্তান না হয়েও আমাকে পিতা দাবি করে জনি ও তার কথিত মাতা হেনা বেগম উত্তরাধিকারী সেজে আমার সম্পত্তিতে অংশীদার হওয়ার আইনি দাবি করতে পারে। এ ছাড়াও তার ও তার স্ত্রীর মামলা মোকদ্দমা ও দলিলাদি নিয়ে পিতার পরিচয়ে আমাকে অপমানজনিত নানা ভোগান্তি, পেরেশানি ও আইনি হয়রানির শিকার হতে হয়। তাছাড়া পুলিশ তাকে খুঁজতে গিয়ে অনেক সময় আমার বাড়ি-ঘরেও হানা দিয়ে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল খালিক বলেন, প্রকৃত সত্য এই যে, আমাদের নিজগ্রাম একাভীম ধীতপুরের স্বামীত্যাগী নিঃসন্তান হেনা বেগম আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর পূর্বে গ্রামের মাজার এলাকা থেকে একটি নবজাতককে কুড়িয়ে এনে লালনপালন করে বড় করিয়েছেন। সেই পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন নবজাতকই আজকের মাহবুবুল আলম জনি।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status