রকমারি
বাংলাদেশি তরুণের জলদস্যুপ্রবণ পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ মার্চ ২০২৪, শনিবারবাংলাদেশি তরুণ মো. লাতিফুল ইসলাম একাধিক বার পাড়ি দিয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুপ্রবণ পথ। এই পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন মানবজমিন-এর কাছে। তিনি বলেন, সোমালিয়ার এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় একটা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থাকে। ২০১৩-১৪ সালের দিকে চার থেকে পাঁচদিনের পথ ছিল। এটা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কমিয়ে দুইদিনের পথ হয়েছে। তবে জাহাজের গতি ও আবহাওয়া বুঝে কম বেশি সময় লাগে। আমি ২০২৩ সালেও এই পথ দিয়ে এসেছি। এই পথ ২০ বারেরও বেশি পাড়ি দিয়েছি। বাংলাদেশের যে জাহাজটা (এমভি আব্দুল্লাহ) জলদস্যুদের কবলে পড়েছে এই জাহাজেও আমি কর্মরত ছিলাম। এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় শ্রীলঙ্কার গলের দিক থেকে সশস্ত্র প্রহরী নেয়া হয়।
তিনি বলেন, কোনো কারণে আক্রমণের শিকার হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বার্তা পাঠাই। নিরাপত্তার দায়িত্বরতরা নৌকায় কিংবা উড়োজাহাজে করে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। তবে জলদস্যুরা জাহাজে উঠে পড়লে আমরা ক্যাপ্টেন ছাড়া সবাই একটা বিশেষ রুমে চলে যাই। ওখানে সবার শেষে ক্যাপ্টেন যান। এই রুমে খাবার, পানিসহ জীবন বাঁচানোর সব উপকরণ থাকে। স্যাটেলাইট ফোনেরও ব্যবস্থা থাকে। এই রুমে ঢুকে গেলে জলদুস্যরা খুঁজে পায় না এবং কিছু করতে পারে না। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি কেন অপহরণ হলো? এর উত্তরে লাতিফুল বলেন, অনেকগুলো কারণ আছে। বর্তমানে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা যে পথ ধরে যাচ্ছিল সেখানে বিপদ কম ছিল। এই এলাকায় যাওয়ার সময় কিছু নিরাপত্তা সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়। এই জাহাজটা যখন মোজাম্বিক থেকে বের হয় তখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে নাই। এছাড়াও ডামি কিছু পুতুলের ব্যবস্থা থাকে যাতে জলদস্যুরা দূর থেকে দেখে বোঝে যে, তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এই জাহাজে কিছু ছিল না। কারণ জাহাজটা সোমালিয়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। জলদস্যুরা ইরানি একটি ফিসিংবোট অপহরণ করেছিল যেটার সাহায্যে কাছাকাছি আসে। তাই আগাম শতর্কতা ছিল না তাদের।