ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শরীর ও মন

পাইলস হলে ধরন অনুযায়ী যেসব চিকিৎসা করা হয়

ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
৪ মার্চ ২০২৪, সোমবার

পায়ুপথের  বিভিন্ন নানা রোগের মধ্যে বেশি দেখা যায় পাইলস। এর  বিশেষ কিছু  চিকিৎসা রয়েছে।দেখা যায়, অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে প্রায় ৯০ ভাগ পাইলসের রোগী সার্জারি বা অস্ত্রোপচার ছাড়াই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ভালো হয়ে যায়। পাইলস সাধারণত ২ ধরনের  হয়ে থাকে। যে পাইলস ভেতরে থাকে তা হলো ইন্টারনাল পাইলস, বাইরের দিকে থাকে এক্সটারনাল পাইলস।
লক্ষণসমূহ
-মলত্যাগের পর ব্যথাহীন রক্তপাত পাইলসের অন্যতম উপসর্গ। পাইলস যদি প্রথম ধাপে থাকে, তবে মলদ্বারে বাড়তি মাংসের মতো কোনো কিছু থাকে না। শুধু মলত্যাগের পর রক্ত যায়।
-দ্বিতীয় ধাপের পাইলসে মলত্যাগের পর তাজা রক্ত যাওয়ার পাশাপাশি মলত্যাগের পর মনে হয়, ভেতর থেকে কী যেন একটা বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে সেটি এমনিতেই ভেতরে ঢুকে যায়।
-তৃতীয় ধাপের পাইলসে মলত্যাগের পর বাড়তি মাংসের মতো বের হওয়া অংশ এমনিতেই আর ভেতরে ঢুকে যায় না; চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয়।
-চতুর্থ ধাপের পাইলস হলে মলত্যাগের পর বাড়তি যে মাংস বের হতো, সেটি আর ঢুকছে না বলে মনে হয়।
-অনেক সময় পাইলসের ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। একে বলা হয় থ্রম্বোসড পাইলস।
চিকিৎসাসমূহ
-পাইলসের ধরন বা উপসর্গের ওপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে। অস্ত্রোপচার করতে হবে কিনা, তা পরীক্ষা করে চিকিৎসক নির্ধারণ করে থাকেন।
-প্রথম ধাপের পাইলসের শুরুতেই রোগী চিকিৎসকের কাছে গেলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না।

বিজ্ঞাপন
এ ধরনের রোগীকে পায়খানা স্বাভাবিক করার জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও পানি পান করতে হবে।
-কোষ্ঠকাঠিন্য বা শক্ত পায়খানা হলে  মল নরম করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। যদি ওষুধে কাজ না হয়, তখন  বেন্ডিং বা সেক্লরো থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। যেমন রিং লাইগেশন, ইনজেকশন।
-দ্বিতীয় ধাপের পাইলসেও অস্ত্রোপচারের দরকার নেই। কিছু আধুনিক চিকিৎসার সহায়তা নেয়া হয়।
-তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পাইলসে অস্ত্রোপচারের দরকার হয়। আধুনিক স্টেপলড হেমোরয়ডেকটমিতে বাইরে কোনো কাটাছেঁড়া হয় না, মলত্যাগের পর ড্রেসিং করারও প্রয়োজন হয় না। সাত দিন পর থেকেই রোগী স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন।
-তবে কারও যদি মলদ্বার একদম বাইরে বের হয়ে আসে এবং ইনফেকশন থাকে, তখন ওপেন হেমোরয়ডেকটমি  করতে হবে।

লেখক:  সহযোগী অধ্যাপক, কলোরেক্টাল, ল্যাপারোস্কপিক ও  জেনারেল সার্জন বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। চেম্বার: ১৯, গ্রীন রোড, একে কমপ্লেক্স, লিফ্‌ট-৪, ঢাকা। 
যোগাযোগ: ০১৭১২-৯৬৫০০৯

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status