খেলা
বিদেশিদের দাপট চলছেই
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
সেই শুরু থেকেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ মানেই বিদেশিদের রাজত্ব। শুরুর আসর থেকে অদ্যাবধি গোলদাতাদের শীর্ষ তালিকাও তাদের দখলে। ব্রাদার্সে খেলা নাইজেরিয়ান এলিজা জুনিয়র দিয়ে যার শুরু। সর্বশেষ আসরে সেরা গোলদাতা হয়েছেন আবাহনীতে খেলা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা। মাঝে একটি আসরে বিদেশিদের হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন এনামুল হক। শেখ জামাল দিয়ে মৌসুম শুরু করা এনামুল এখন খেলছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নে। প্রিমিয়ার লীগের তৃতীয় আসরে আবাহনীর জার্সি গায়ে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। আকাশি-হলুদদের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল নওগাঁয়ের এ যুবকের। ২১ গোল করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এ স্ট্রাইকার। চলমান লীগের ১৬ রাউন্ড শেষে শীর্ষ পাঁচ জনের চারজনই বিদেশি ফুটবলার। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত স্ট্রাইকারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না চলতি লীগে। গোলের খাতা খুলতে পারেননি জাহিদ হাসান এমিলি ও শাখাওযাত হোসেন রনি।
শুরুর দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর তৌহিদুল আলম সবুজ প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করে আশা জাগিয়েছিলেন। হয়তো এনামুলের পর সবুজ স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে পেশাদার লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেন-এমনটিও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু লীগ যত সামনে গড়িয়েছে সবুজও ততো ছিটকে পড়েছেন। এখন লীগে গোলতাদের তালিকায় চার নম্বরে সবুজ। তার গোল ৭টি। সবুজের সামনে থাকা তিনজনের ৯, ১০ ও ১১ গোল। দল হিসেবে চট্টগ্রাম আবাহনী শীর্ষস্থান ধরে এগুতে থাকলেও সবুজ পারেননি তার অবস্থান ধরে রাখতে। ১১ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল। ১০ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে একই দলের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং ক্যানফার্ম। মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি ৯ গোল করে আছেন তিন নম্বরে। চারে অবশ্য সবুজ একা নন। ৭ গোল করে তার সমান্তরালে আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড বুকোলা ওলালেকান ও ব্রাদার্সের কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিয়ো জুনাপিও। গোলদাতাদের শীর্ষে থাকা ১০ জনের মধ্যে স্থানীয়দের পতাকা ধরে রেখেছেন ওই সবুজই। মোহামেডান ছেড়ে এ বছর চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেয়া এ স্ট্রাইকার ছাড়া বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের মধ্যে ৫ গোলও নেই কারো।
লীগের প্রথম ১৬ রাউন্ডে গোল হয়েছে ২২৭টি। এর মধ্যে ১৩৫ গোলই বিদেশিদের। যা মোট গোলের প্রায় ষাট শতাংশ। ৯২ গোল এসেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। তবে গোলদাতাদের তালিকায় বেশি নাম স্থানীয়দেরই। ২২৭ গোল করেছেন ৮৫ জনে। এর মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৩৪ জন বিদেশি। একটি করে গোল করা স্থানীয় খেলোয়াড় হচ্ছেন ২৫ জন। ২টি করে গোল আছে ১৮ জনের, ৩টি করে ৪ জনের। আবাহনীর নাসির উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম আবাহনীর জাহিদ হোসেন, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের জুয়েল রানাদের ঝুলিতে গোল চারটি করে। দেশি স্টাইকারদের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন রনি, জাহিদ হাসান এমিলিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাত ম্যাচ খেলা রনি ও নয় ম্যাচ খেলা এমিলির গোলের খাতাই খুলতে পারেননি। বদলি হিসেবে দুটি গোল করা মিঠুন চৌধুরীও সুযোগ পাচ্ছে না নিয়মিত। শুরুর দিকে দুটি গোল করা তকলিস, তিন গোল করা নাবীব নেওয়াজ জীবনও বিদেশিদের ভিড়ে একাদশে নিয়মিত নন। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে দুটি টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা চট্টগ্রাম আবাহনীর আবদুল্লাহ কিংবা জাফর ইকবালও সুযোগ পাচ্ছে না। বদলি হিসেবে নেমে একটি করে গোল করেছেন যুব দলের এই দুই ফুটবলার।
লীগে শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকা
মৌসুম নাম গোল দল
২০০৭ এলিজা এলিজা জুনিয়র (নাইজেরিয়া) ১৬ ব্রাদার্স
২০০৮ বুকোলো ওলালেকান (নাইজেরিয়া) ১৮ মোহামেডান
২০০৯ এনামুল হক (বাংলাদেশ) ২১ ঢাকা আবাহনী
২০১০ জেমস মগা (সাউদ সুদান) ১৯ মুক্তিযোদ্ধা
২০১২ ইসমাইল বাঙ্গুরা (গিনি) ১৭ টিম বিজেএমসি
২০১২-১৩ মরিসন (ঘানা) ১১ ঢাকা মোহামেডান
২০১৩-১৪ ওয়েডসন এনসেলমি (হাইতি) ২৬ শেখ জামাল
২০১৪-১৫ ওয়েডসন এনসেলমি (হাইতি) ১৮ শেখ জামাল
২০১৫-১৬ সানডে সিজুবা (নাইজেরিয়া) ১৯ ঢাকা আবাহনী
শুরুর দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর তৌহিদুল আলম সবুজ প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করে আশা জাগিয়েছিলেন। হয়তো এনামুলের পর সবুজ স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে পেশাদার লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেন-এমনটিও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু লীগ যত সামনে গড়িয়েছে সবুজও ততো ছিটকে পড়েছেন। এখন লীগে গোলতাদের তালিকায় চার নম্বরে সবুজ। তার গোল ৭টি। সবুজের সামনে থাকা তিনজনের ৯, ১০ ও ১১ গোল। দল হিসেবে চট্টগ্রাম আবাহনী শীর্ষস্থান ধরে এগুতে থাকলেও সবুজ পারেননি তার অবস্থান ধরে রাখতে। ১১ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল। ১০ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে একই দলের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং ক্যানফার্ম। মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি ৯ গোল করে আছেন তিন নম্বরে। চারে অবশ্য সবুজ একা নন। ৭ গোল করে তার সমান্তরালে আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড বুকোলা ওলালেকান ও ব্রাদার্সের কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিয়ো জুনাপিও। গোলদাতাদের শীর্ষে থাকা ১০ জনের মধ্যে স্থানীয়দের পতাকা ধরে রেখেছেন ওই সবুজই। মোহামেডান ছেড়ে এ বছর চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেয়া এ স্ট্রাইকার ছাড়া বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের মধ্যে ৫ গোলও নেই কারো।
লীগের প্রথম ১৬ রাউন্ডে গোল হয়েছে ২২৭টি। এর মধ্যে ১৩৫ গোলই বিদেশিদের। যা মোট গোলের প্রায় ষাট শতাংশ। ৯২ গোল এসেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। তবে গোলদাতাদের তালিকায় বেশি নাম স্থানীয়দেরই। ২২৭ গোল করেছেন ৮৫ জনে। এর মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৩৪ জন বিদেশি। একটি করে গোল করা স্থানীয় খেলোয়াড় হচ্ছেন ২৫ জন। ২টি করে গোল আছে ১৮ জনের, ৩টি করে ৪ জনের। আবাহনীর নাসির উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম আবাহনীর জাহিদ হোসেন, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের জুয়েল রানাদের ঝুলিতে গোল চারটি করে। দেশি স্টাইকারদের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন রনি, জাহিদ হাসান এমিলিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাত ম্যাচ খেলা রনি ও নয় ম্যাচ খেলা এমিলির গোলের খাতাই খুলতে পারেননি। বদলি হিসেবে দুটি গোল করা মিঠুন চৌধুরীও সুযোগ পাচ্ছে না নিয়মিত। শুরুর দিকে দুটি গোল করা তকলিস, তিন গোল করা নাবীব নেওয়াজ জীবনও বিদেশিদের ভিড়ে একাদশে নিয়মিত নন। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে দুটি টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা চট্টগ্রাম আবাহনীর আবদুল্লাহ কিংবা জাফর ইকবালও সুযোগ পাচ্ছে না। বদলি হিসেবে নেমে একটি করে গোল করেছেন যুব দলের এই দুই ফুটবলার।
লীগে শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকা
মৌসুম নাম গোল দল
২০০৭ এলিজা এলিজা জুনিয়র (নাইজেরিয়া) ১৬ ব্রাদার্স
২০০৮ বুকোলো ওলালেকান (নাইজেরিয়া) ১৮ মোহামেডান
২০০৯ এনামুল হক (বাংলাদেশ) ২১ ঢাকা আবাহনী
২০১০ জেমস মগা (সাউদ সুদান) ১৯ মুক্তিযোদ্ধা
২০১২ ইসমাইল বাঙ্গুরা (গিনি) ১৭ টিম বিজেএমসি
২০১২-১৩ মরিসন (ঘানা) ১১ ঢাকা মোহামেডান
২০১৩-১৪ ওয়েডসন এনসেলমি (হাইতি) ২৬ শেখ জামাল
২০১৪-১৫ ওয়েডসন এনসেলমি (হাইতি) ১৮ শেখ জামাল
২০১৫-১৬ সানডে সিজুবা (নাইজেরিয়া) ১৯ ঢাকা আবাহনী