ঢাকা, ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

শত বাধার মাঝেও ফিলিস্তিনের পক্ষে কারা

মাহবুব নাহিদ
১১ মে ২০২৪, শনিবার

আরব দেশগুলোর মধ্যে জর্ডান কেন ইসরাইলের পক্ষে এটা নিয়ে সরগরম মুসলিম বিশ্ব। জর্ডানের ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়ানো কেউই ভালো চোখে দেখছে না। ইরান থেকে পাঠানো ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত করার জন্য বৃটেন এবং আমেরিকার পাশাপাশি ইসরাইলকে সাহায্য করেছে জর্ডানও। যদিও তারা বলছে যে, এটা তাদের আত্মরক্ষার উপসর্গ। এই দুই দেশের ঝামেলায় যাতে তারা বিপাকে না পড়ে এজন্যই এই পন্থা, কিন্তু অভ্যন্তরীণ দৃশ্যপট বলছে অন্য কথা। জর্ডানে মূলত রাজতন্ত্র চলছে এখন, জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের আবার দহরম-মহরম চলছে বহু আগে থেকেই। এই প্রেম আজকের নয়, এই প্রেম ১৯৯৪ সাল থেকেই চলছে জর্ডানের সঙ্গে। ঐ সময়ে তারা একটা চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৯ সালে মিশরের পরে ১৯৯৪ সালে তারা দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। চলতি বছরে পানিচুক্তি নবায়ন  করার জন্য ইসরাইলের কাছে প্রস্তাব দেয় জর্ডান, বিনিময়ে গাজা ইস্যুতে পাশে থাকতে হবে, এমন শর্তও জুড়ে দেয় ইসরাইল ২০২২ সালে তারা সৌরবিদ্যুৎ আমদানি করে ইসরাইলের কাছ থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা আসলে ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল। তারা এখন পড়ে গেছে উভয় সংকটে, এই জায়গা থেকে বের হওয়ার কোনো সহজ রাস্তা নেই বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা। একদিকে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে ইসরাইল আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে আর সরাসরি ইসরাইলের পক্ষেও যেতে পারবে না, তাদের সমর্থন দিতে হবে ফিলিস্তিনকেও কারণ তাদের জনসংখ্যার অর্ধেক ফিলিস্তিনের শরণার্থী! এ যেন শাঁখের করাত!


বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের সমর্থন দিনদিন বেড়েই চলছে। আস্তে আস্তে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে অনেকেই। সরাসরি হয়তো যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ কথা বলছে, এটাই এখন আশাজনক বিষয়। ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তা আসলে শুধু মুসলমানরা কেন পুরো মানবজাতিরই উচিত এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। প্রথমত, ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও ইসরাইলকে হামলা না চালাতে বলার জন্য বাধ্য হচ্ছে। কারণ, আমেরিকার আপামর মানুষ এই গণহত্যার পক্ষে নন। আমেরিকাতে গাজার হত্যাযজ্ঞ নিয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে, বহু কথা হচ্ছে, এমনকি বিক্ষোভও হচ্ছে। আবার সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, এই নির্বাচনে মানুষের মন জয় করার জন্য হলেও ফিলিস্তিনে চালানো গণহত্যার বিপক্ষে যেতে হচ্ছে। একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে, জার্মানিতে কোনো একটা সেমিনারে হিউম্যান রাইটস নিয়ে কথা বলছিলেন মার্কিন ডেমোক্রেট দলের হিলারি ক্লিনটন। সেখানে দর্শক সারি থেকে ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় অনেককে।

হিলারি ক্লিনটনকে একদম নাস্তানাবুদ করে দেয়ার মতো অবস্থা একদম। একজন তো এমনভাবে বলেছে, আপনি যেই দলের সদস্য, সেই দলের নেতৃত্বাধীন সরকার ফিলিস্তিনে জেনোসাইড করাচ্ছে, আর আপনি এখানে বসে হিউম্যান রাইটসের গল্প শোনাচ্ছেন! ব্যাপারটা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, সবাই ব্যাপারটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। ওখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা অবশ্য প্রতিবাদকারীদের থামিয়ে দিচ্ছিলো কিন্তু মনে যদি প্রতিবাদ থাকে তাহলে তাকে রুখতে পারে কে? আমাদের বাংলাদেশ তো সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব, বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘে ওঠা সকল প্রস্তাবেই পক্ষে থাকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নাগরিক ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকবে এটাও স্বাভাবিক। আমাদের দেশের সকল মিডিয়া কর্মীদের থেকে শুরু করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কিন্তু এমন এমন জায়গা থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ইঙ্গিত দেখা গেছে তা আসলেই অবাক করার মতো এবং প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের মতো জায়গায় ফিলিস্তিনের পতাকা দেখতে পাওয়া আসলেই দারুণ ব্যাপার। লিভারপুলের দর্শকরা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে মাঠে গেছেন। পল পগবা, আমাদ দায়ালোসহ নানান খেলোয়াড়দের আমরা দেখি যে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে সমর্থন জানান। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিকে দেখেছি তার নিজের বাড়িতে ফিলিস্তিনের পতাকা টাঙিয়ে সরব উপস্থিতি জানিয়েছেন। 

পাকিস্তানের বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান তো টুইটারে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক রোষানলেও পড়েছেন! এই রোষানল অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আসে আমাদের পাশের দেশ ভারত থেকে। সাবেক ম্যান সিটি তারকা রিয়াদ মাহরেজকে সবসময়ই ফিলিস্তিনের বিষয়ে সরব থাকতে দেখা যায়। গত ফুটবল বিশ্বকাপে স্পেনকে হারানোর পর মরক্কোর খেলোয়াড়েরা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে উদ্‌যাপন করে। লেস্টার সিটির খেলোয়াড় আমাদের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজা চৌধুরী এবং ওয়েসলি ফোফানাকে দেখা গেছে চেলসির সঙ্গে এফএ কাপে ম্যাচ জেতার পর ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে সমর্থন জানাতে। বর্তমানে একটা বিষয় খুব বেশি জনপ্রিয় হয়েছে, সেটা হচ্ছে নিউ ইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব হয়েছে। তারা তাবু গেড়ে আন্দোলন করছে, সেখানে তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য নানা চেষ্টা করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বহিষ্কার করা হয়েছে। তবুও তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে অটুট! জানুয়ারি মাসে দেখলাম ফিলিস্তিনের পক্ষে পোস্ট দেয়ায় চাকরি গেছে এক অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের।  এখন আসা যাক, রাষ্ট্র হিসেবে কারা কারা ফিলিস্তিনের পক্ষে। ব্যাপারটা মোটামুটি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, বিশ্ব হয়ে গেছে দুইভাগে বিভক্ত। বিভক্তির রেখাটা কীভাবে করা হয়েছে সেটার দিকে একটু আগাই। ব্যাপারটা হয়েছে যুদ্ধটা কাদের কাদের মধ্যে? ইসরাইল আর ফিলিস্তিনের।

 ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে কারও থাকা লাগবে না। যারা ইসরাইল কিংবা আমেরিকার বিপক্ষে আছে তাদের খুঁজে বের করলেই হবে। এরাই হচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে। যেমনটা আমরা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ক্ষেত্রে দেখেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে, মানে তাদেরকে পাশে দাঁড়াতে হয়েছে আসলে। ঠিক একইভাবে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে রাশিয়াও ফিলিস্তিনের পক্ষে। রাশিয়া সরাসরি এসে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করতে নামেনি। কিন্তু তারা ঠিকই জাতিসংঘের সকল প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু ফিলিস্তিনের পাশে আমাদের বাংলাদেশ যেভাবে দাঁড়িয়েছে সেটা আসলেই দারুণ। আমরা শুধু মুখে কথার মাধ্যমে নয়। আমরা শারীরিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকারিভাবে তো সাহায্য করা হচ্ছেই পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন এমনকি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেককে কাজ করতে দেখা গেছে। একটা বিষয় খুব বেশি জনপ্রিয় হয়েছে, সেটা হচ্ছে- বয়কট ইসরাইলি প্রডাক্ট। ইসরাইলি প্রডাক্ট বয়কটের আন্দোলন বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আবার অন্য কথাও উঠেছে। অনেকেই বলেন যে, ফেসবুক তো ইহুদিদের জায়গা, এটা নিয়ে কেন আমরা পড়ে আছি। একটা বিষয় কিন্তু মজার, তারা ইহুদি হলেও এই যে তাদেরই বানানো প্ল্যাটফর্মে তাদেরই বিপক্ষে সোচ্চার হওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু মজার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যা সব কন্টেন্ট দেয়া হয়, তার উপরে স্ট্রাইক দেয়া হয়, বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়। তার উপরেও কিন্তু দারুণ একটা গণরোষ উঠেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। এই বিষয়টাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। এভাবেই আসলে এগিয়ে যেতে হবে। 

পিছিয়ে যাওয়ার অবকাশ নেই, পিছিয়ে যাওয়া মানেই তো হেরে যাওয়া! গত বছরে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলদারিত্বের কারণে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) কাছে মতামত চেয়েছে জাতিসংঘ। এর পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশসহ নানান দেশ। দেশগুলো হচ্ছে- রাশিয়া, চীন, ইরান, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, সৌদি আরব প্রভৃতি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষেই থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার বিষয়ে বহুবারই দেখা গেছে কাতার এগিয়ে এসেছে। ইরান এবার তো ইসরাইলে হামলাই করে বসলো। ইরান অবশ্য আগে থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিল। আয়াতুল্লাহ খোমেনি সর্বদাই ফাতাহ এবং ইয়াসির আরাফাতের সমর্থনে ছিল। কিন্তু সকলের কাছে অবাক করা বিষয় হচ্ছে- সৌদি আরবের চুপ থাকার ব্যাপারটা। আসলে তারা কেন চুপ থাকে সেটার পিছনে অনেক ব্যাখ্যা আছে। সৌদি আরবের এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে আমেরিকার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। বিশেষ করে যখন ট্রাম্প ক্ষমতায় ছিল তখন বেশ রমরমা ছিল দুই দেশের সম্পর্ক। দুই দেশের মধ্যে বহু ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড হয়েছে। সৌদি আরবে সিনেমা হল খুলেছে, হালাল বার হয়েছে, আরও অনেক কিচ্ছা! তারা ইসলামের মূল জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে কিনা এটা নিয়ে অনেকের মাঝেই জল্পনা। তো আমেরিকার সঙ্গে সখ্য থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই তারা সরাসরি ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়াতে পারছে না। 

তবে অন্তরে নিশ্চয়ই তাদের ফিলিস্তিনের জন্য ভালোবাসা আছে এটা সবাই বিশ্বাস করে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ভারত! ভারত আমাদের পাশের দেশ, আমাদের সঙ্গে অনেক সখ্য। কিন্তু আমাদের চেয়ে তাদের বেশি সখ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। অন্যদিকে আবার ভারতীয় জনতা পার্টি নামক দলটার মূল উপজীব্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মুসলিম খেদাও! এর মধ্যে সামনে আবার তাদের নির্বাচন। নির্বাচনে এমনিতেই জাত ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বেশ ক্যাচাল লাগিয়েছেন। তাদের কোনো কারণেই ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে- কিছুদিন আগে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কারা কারা তাদের পাশে থেকে সমর্থন দিয়েছে সেসব দেশের পতাকার ছবি দিয়ে পোস্ট করেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে সেই তালিকায় ছিল না ভারতের পতাকা!  এখন বিষয় হচ্ছে- আরব দেশগুলোর মধ্যে জর্ডান কেন ইসরাইলের পক্ষে এটা নিয়ে সরগরম মুসলিম বিশ্ব। জর্ডানের ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়ানো কেউই ভালো চোখে দেখছে না। ইরান থেকে পাঠানো ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত করার জন্য বৃটেন এবং আমেরিকার পাশাপাশি ইসরাইলকে সাহায্য করেছে জর্ডানও। যদিও তারা বলছে যে, এটা তাদের আত্মরক্ষার উপসর্গ। 

এই দুই দেশের ঝামেলায় যাতে তারা বিপাকে না পড়ে এজন্যই এই পন্থা, কিন্তু অভ্যন্তরীণ দৃশ্যপট বলছে অন্য কথা। জর্ডানে মূলত রাজতন্ত্র চলছে এখন, জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের আবার দহরম-মহরম চলছে বহু আগে থেকেই। এই প্রেম আজকের নয়, এই প্রেম ১৯৯৪ সাল থেকেই চলছে জর্ডানের সঙ্গে। ঐ সময়ে তারা একটা চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৯ সালে মিশরের পরে ১৯৯৪ সালে তারা দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। চলতি বছরে পানিচুক্তি নবায়ন  করার জন্য ইসরাইলের কাছে প্রস্তাব দেয় জর্ডান, বিনিময়ে গাজা ইস্যুতে পাশে থাকতে হবে, এমন শর্তও জুড়ে দেয় ইসরাইল। ২০২২ সালে তারা সৌরবিদ্যুৎ আমদানি করে ইসরাইলের কাছ থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা আসলে ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল। তারা এখন পড়ে গেছে উভয় সংকটে, এই জায়গা থেকে বের হওয়ার কোনো সহজ রাস্তা নেই বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা। একদিকে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে ইসরাইল আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে আর সরাসরি ইসরাইলের পক্ষেও যেতে পারবে না, তাদের সমর্থন দিতে হবে ফিলিস্তিনকেও কারণ তাদের জনসংখ্যার অর্ধেক ফিলিস্তিনের শরণার্থী! এ যেন শাঁখের করাত! 

লেখক: কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক

পাঠকের মতামত

I am on behalf of palestine. Because Im a Homo sapiens.

নিঃসঙ্গ পথিক
১১ মে ২০২৪, শনিবার, ৫:১৭ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2022
All rights reserved www.mzamin.com