বাংলারজমিন
অভিযোগ অস্বীকার মেয়রের
রাসনার চুল ধরে টানা হেঁচড়ার প্রশ্নই উঠে না
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারবিশ্বনাথে ক্ষমতাসীনদের সেল্টারে কাউন্সিলরদের নেতৃৃত্বে নাটক করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মেয়র মুহিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, কাউন্সিলর রাসনা বেগম তার বিরুদ্ধে সাজানো তথ্য দিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। যা বিশ্বনাথ থানা পুলিশ কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। বিশ্বনাথে একটি রাস্তা নির্মাণ কাজে কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও তার সহযোগীদের চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এমন দাবি করেন। মেয়র মুহিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই মামলা-মোকদ্দমা ও হয়রানির বিষয় নতুন নয়। যখনই কোনো নির্বাচন আসে তখনই একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার সমর্থিত প্রার্থীকে দুর্বল করার অপচেষ্টারও অংশ এটি তার দাবি। তিনি জানান, গত ২৩শে এপ্রিল দুপুরে তার পৌর এলাকার মিরেরচর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে থেকে কালিগঞ্জ সংযোগ রাস্তা হয়ে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলাবস্থায় ঠিকাদার মুন্না হোসেনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে হুমকি-ধামকি প্রদান করে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়র কয়েকজন কাউন্সিলর ও অন্যান্য লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও কাউন্সিলর রফিক মিয়া দলবল নিয়ে মেয়রের গাড়ির গতিরোধ করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মেয়র ও তার লোকজনের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। এসবের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। যার মাধ্যমে সেদিনের পুরো চিত্র ফুটে উঠেছে। কিন্তু রাসনা বেগম পুরো চিত্র উল্টে নতুন নাটক সাজিয়ে মেয়রকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলা দিয়েছেন। মেয়র তার বক্তব্যে দাবি করেন, এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দায়ের করা হয়েছে। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থীকে সরাসরি সমর্থন প্রদান করার কারণেই ক্ষমতাসীন দলের একজন শীর্ষ নেতার ছত্রচ্ছায়ায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে মেয়র মুহিবুর রহমান দাবি করেন, রাসনা বেগম তার সাজানো মামলার বিবরণে যেসব অপমানজনক দাবি জানাচ্ছেন তা আদৌ সত্য নয়। তার চুল ধরে টানা-হেঁচড়ার প্রশ্নই উঠে না। মেয়র বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি গাড়ি থেকে নেমেছিলাম। কিন্তু তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে আমি পুনরায় গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছি।’