ঢাকা, ৫ মে ২০২৪, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে প্রতিবন্ধী উজ্জ্বলের

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) থেকে
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

৪৮ বছরের যুবক মো. করিম খান উজ্জ্বল। শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি। বিছানাতে শুয়েই দিন কাটে তার। নড়াচড়া বা চলাফেরা, সবই করতে হয় অন্যের সহযোগিতায়। উজ্জ্বলের বাবা জীবিত থাকাকালীন পরিবারের সকলে একসঙ্গে সুন্দরভাবে দিন পার করেছেন। তবে বাবার মৃত্যুর পরই যেন উজ্জ্বলের জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া। বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধী উজ্জ্বলের সুখও মারা যায়। কারণ তার বাবার মৃত্যুর পরই মেজো ভাই মো. মাহাবুব আলম সুকৌশলে উজ্জ্বলের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। যার ফলে বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রতিবন্ধী উজ্জ্বল। তিনি ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী মোফাজ্জল হোসেন খলিফার ছেলে চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় উজ্জ্বল। এ ছাড়া তার আরও চার বোন আছে। 

অভিযোগ করে মো. করিম খান উজ্জ্বল জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঘরে শুয়ে থাকা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই। প্রায় ১৫ বছর আগে বাবা মারা যান। এরপর মেজো ভাই মাহাবুব আলমের সঙ্গে একত্রে থাকতাম এবং বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার চালাতাম। তবে হঠাৎ করেই আমিসহ স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে মেজো ভাই মো. মাহাবুব আলম। যার জন্য তাকে আমার ওয়ারিশি সম্পদ বুঝিয়ে দিতে বলি। সম্পদ বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলাই কাল হয় আমার। ওই ঘটনার পর থেকে আমাকে ভিন্ন করে দেয়া হয়। একইসঙ্গে সম্পদ বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ৪২ লাখ টাকা আমার কাছে পাবে বলে দাবি করছে মাহবুব আলম। যার ফলে স্ত্রী ও এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে আমার দিন কাটছে। অর্থাভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম সন্তানদের পড়ালেখাও। আমি আমার ভাই মাহাবুব আলমের প্রতারণা থেকে বাঁচতে ও পাওনা সম্পদ ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রতিবন্ধী যুবক উজ্জ্বলের ভাই মো. মাহাবুব আলমকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উজ্জ্বল গার্মেন্টেসে সাংবাদিকদের দেখা করতে বলেছেন।

তার কথার ভিত্তিতে একাধিকবার মাহবুব আলমের বক্তব্যের জন্য ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2022
All rights reserved www.mzamin.com