বাংলারজমিন
মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা পাড়ের ১১ উপজেলায় মানববন্ধন-সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১ উপজেলায় একযোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচিতে তিস্তা নদী এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন-সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। তিস্তা নদী’র কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান, আশিকুর রহমান, গণেশ শর্মা, হাতীবান্ধা উপজেলায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান গনি, লালমনিরহাট উপজেলায় সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, গত বছরের ২রা আগস্ট রংপুরের জিলা স্কুল মাঠের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করবো’। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেয়ার প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। তিস্তা নদীর পরিচর্যা না হওয়ায় নদীর বুক ভরা হয়ে গেছে, শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় নদী ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। আসন্ন বর্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।
তাই তিস্তা পাড়ের মানুষের নিরাপদ জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থা করতে অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা এ সময় বক্তারা তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সই ও জলাধার নির্মাণ, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সঙ্গে তিস্তা নদীর আগেকার সংযোগ স্থাপন, খনন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু করা, তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা চরের ও নদী তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষি সমবায়, ফুডপ্রসেসিংসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা, তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ, নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও মৎস্যজীবীসহ উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসন, ভূমিদস্যু ও কর্পোরেট কোম্পানির হাত থেকে দখলকৃত তিস্তাসহ তিস্তার শাখা ও উপনদী দখলমুক্ত করা, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ছয় দফা দাবি জানানো হয়।