বাংলারজমিন
নওগাঁয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
নওগাঁ প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারনওগাঁয় ঔষধ প্রশাসনের দুই ঔষধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ, মামলা প্রত্যাহার ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে না লেখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে। এই দাবিতে গতকাল সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সামনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন করেন তারা। দাবি না মানলে জেলার ৫ হাজার ওষুধ ব্যবসায়ী তাদের ড্রাগ লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে ব্যবসা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
জেলার ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলেন, সম্প্রতি নওগাঁ ঔষধ প্রশাসন এর তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রেজিস্ট্রেশন বিহীন ওষুধ রাখার অপরাধে শহরের ইমতিয়াজ মেডিকেল স্টোরের মালিক আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদ মেডিকেল স্টোরের মালিক রাশেদের ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাক্টস্ যেমন- স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাদাচার, স্যাম্পু, সাবান, ফুডসাপ্লিমেন্টস, ভেষজ, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হার্বাল ও ইম্পোর্ট আইটেম প্রভৃতি নিয়মিতভাবে লিখে আসছেন। যেগুলির ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদন নাই। যার বহু ব্যবস্থাপত্রের কপি ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক কোনো কোম্পানি বা চিকিৎসকগণের ব্যাপারে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ওষুধ বাজারজাত করছেন যা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, এ অবস্থায় দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন-২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানিমূলক মামলা, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। নাহলে অবিলম্বে বৃহৎ আন্দোলন শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনে ড্রাগ লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে ব্যবসা থেকে সরে আসবেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন চলাকালে শহরের সকল ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় চরম
ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন ওষুধ বিষয়ে বিক্রেতা ও চিকিৎসক দু’পক্ষের দায়বদ্ধতা আছে।
তবে চিকিৎসকরা যেন না লিখেন এ জন্য আমি তাদের সঙ্গে বসবো এতে কাজ না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।