বাংলারজমিন
সরাইলে তীব্র দাবদাহে নাজেহাল নির্মাণ শ্রমিকরা
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারএক সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চলছে তীব্র দাবদাহ। চারিদিকে মানুষ ও জীবজন্তু হাঁসফাঁস করছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। বৃষ্টির জন্য হাহাকার চলছে সর্বত্র। হিটস্ট্র্রোকের আতঙ্কও বিরাজ করছে চারিদিকে। ইস্তিসকারের নামাজের ব্যবস্থা করার আহ্বান করছেন লোকজন। প্রকৃতির এমন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও থেমে নেই অনেকেই। তীব্র এই দাবদাহ উপেক্ষা করেই প্রতিদিন শ্রম বিক্রির অপেক্ষায় থাকেন সরাইলের নির্মাণ শ্রমিকসহ কয়েকটি সেক্টরের শ্রমিকরা। এদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও কিশোর। কাঠফাটা রৌদ্র মাথায় নিয়ে ইরি-বোরো ধান কাটতে মাঠে যাচ্ছেন আরেক শ্রেণির শ্রমিক।
তারা বলেন, কাজ না করলে উপোস থাকতে হবে পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্যই তো কষ্ট স্বীকার করে কাজ করছি। অবর্ণনীয় কষ্টকর, যন্ত্রণাদায়ক ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মাঠের কাজকর্ম। তারপরও সরাইলে থেমে নেই কয়েক শ্রেণির শ্রমজীবী মানুষ। এদের মধ্যে নির্মাণ, ধানকাটা ও পরিবহন শ্রমিকরা উল্লেখযোগ্য। তারা জানান, কাজ করলেই পেটে ভাত জুটবে। নতুবা পরিবারসহ উপোস খাকতে হবে। তাই হিটস্ট্র্রোকের চিন্তা করতে পারি না। কারণ হিটস্ট্রোকের মৃত্যু মেনে নিলেও উপোস-অনাহারের মৃত্যু সহ্য করতে পারবো না। চোখের সামনে নিজের স্ত্রী-সন্তানরা না খেয়ে থাকবে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি আর ইট টেনেছেন ট্রাক্টরের শ্রমিকরা। তাদের সকলের পরণের কাপড়ই ঘামে ভিজে গোসলের মতো হয়ে যাচ্ছে। নাকে মুখে ও সারা শরীরে গড়িয়ে পড়ছে ঘাম। জ্বলে যাচ্ছে চেহারা। সুন্দর মুখ অবয়ব কালো হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে নেয়া পানি শেষ হয়ে যায় নিমিষেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়া বলেন, হিটস্ট্রোক এড়াতে সরকার রেডএলার্ড জারির পরও দাবদাহ উপেক্ষা করে শ্রমিকদের এভাবে কাজ করা প্রকৃতপক্ষেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই ক্ষতিকর। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।