ঢাকা, ৫ মে ২০২৪, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

মাদারীপুরে তীব্র গরমে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগী, শয্যা সংকট

মাদারীপুর প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

তীব্র গরমে প্রতিদিনই মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। একসঙ্গে একই বেডে দুই থেকে তিনজন এবং ফ্লোরেও রোগীরা থাকছেন। এতে করে রোগীদের পড়তে হচ্ছে বেশি সমস্যায়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকতে দেয়ায় রোগীসহ তাদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেয়া দিয়েছে। সরজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুরে তীব্র দাবদাহে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত প্রায় ১০ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। ফলে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগী বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১০৮ জন শিশুকে ভর্তি দেখা যায়। এ ছাড়াও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২৫ জন শিশুকে ভর্তি দেখা গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪০ শয্যা থাকায় একসঙ্গে এত শিশুকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের। শয্যা সংকট থাকায় এক শয্যায় এক সঙ্গে দুই থেকে তিনজন শিশুকে থাকতে দেখা যায়।  এ ছাড়াও হাসপাতালে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের ৪৯ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫ জনই শিশু। অতিরিক্ত গরমের জন্যই হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে থাকা ফুপু অদিতি বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। অনেক গরমের কারণে  সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু এক বেডে দুইজন থাকছে। এতে করে এই গরমের মধ্যে থাকতে সমস্যা হচ্ছে। 

রোগীর মা ফারজানা আক্তার বলেন, আমার বাড়ি মাদারীপুরের রঘুরামপুরে। আমার দুই ছেলেই অসুস্থ। একটার বয়স পাঁচ বছর ও ছোটটার ৭ মাস। বড় ছেলের টাইফয়েড ও ছোট ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। গত ৬ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু কোনো বেড পাইনি। তাই ফ্লোরেই থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিতু বাড়ৈ বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১০৮ জন রোগী ভর্তি আছে। গরমের কারণে কয়েকদিন ধরে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কয়েকদিন ধরে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে আবার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। একসঙ্গে এত রোগী থাকায় মাত্র ৪০ শয্যায়  রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। এ ব্যাপারে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মুনির চৌধুরী বলেন, গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ হচ্ছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। তবে বেশি ঠাণ্ডা পানি পান করার প্রয়োজন নেই। যদি রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তাহলে কিছুক্ষণ পর পর ছায়ায় বিশ্রাম নিবেন। একটানা রোদের মধ্যে কাজ করা যাবে না। 
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2022
All rights reserved www.mzamin.com