বিশ্বজমিন

লোহার খাঁচায় গঙ্গায় ডুবিয়ে দেয়া হলো জাদুকরকে, অতঃপর... (ভিডিও)

মানবজমিন ডেস্ক

১৭ জুন ২০১৯, সোমবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

সবাইকে বিস্মিত করে দিতে চেয়েছিলেন জাদুকর মন্দ্রাকে। তাই ৪০ বছর বয়সী এই জাদুকরকে লোহার রডে তৈরি খাঁচায় ভরে তা আটকে দেয়া হয়। এরপর ওই খাঁচাটি ক্রেনের সাহায্যে নামিয়ে দেয়া হয় গঙ্গা নদীতে। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ওভাবে তাকে পানিতে ডুবিয়ে দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বেরিয়ে আসতে পারেন জাদুর বলে। কিন্তু ডুবিয়ে দেয়ার পর তার কোনো সন্ধান মিলছে না। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। ফলে তাকে উদ্ধারে নেমেছে কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি ঘটে রোববার। জাদুকর মন্দ্রাকে’র প্রকৃত নাম চঞ্চল লাহিড়ি। পানিতে ডুবিয়ে দেয়ার আগে তার চ্যালেঞ্জ ছিল- ‘ইফ আই ক্যান ফ্রি মাইসেলফ ইট উইল বি ম্যাজিক, ইফ আই ক্যান নট ইট উইল বি ট্রাজিক’। অর্থাৎ আমি বেরিয়ে আসতে পারলে এটা হবে ম্যাজিক। আর যদি না পারি তাহলে তা হবে ট্রাজিক। দৃশ্যত পরের ঘটনাটিই সত্য হতে চলেছে। তাকে যখন গঙ্গার পানিতে নামিয়ে দেয়া হয়, চঞ্চল তখন বাইরে অপেক্ষমাণ পরিবারের সদস্য, মিডিয়া ও পুলিশের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন। এ দৃশ্য দেখার জন্য হাওয়ায় গঙ্গাপাড়ে ঢল নামে মানুষের। কিন্তু শেষ কৌশল দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কর্তৃপক্ষ এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে তাকে। তার পরিবারের এক সদস্য বলেছেন, এখনও অনুসন্ধান চলছে।

এর আগে চঞ্চল দাবি করেন, ২১ বছর আগে ওই একই এলাকায় সফলতার সঙ্গে তিনি এই জাদু দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তখন আমাকে একটি বুলেটপ্রুফ কাচের বাক্সে চেইনে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তারপর ওই বাক্স তালা দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছিল। হাওড়া ব্রিজ থেকে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল সেই বাক্স। কিন্তু মাত্র ২৯ সেকেন্ডের মধ্যে আমি তার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। চঞ্চল স্বীকার করেন, এবার নিজেকে সেভাবে মুক্ত করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

২০১৩ সালে গঙ্গায় একই চর্চা করেছিলেন চঞ্চল। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিলেন, তিনি তালাবন্ধ একটি খাঁচার ভিতর থেকে একটি দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। এটা পরিষ্কার দেখা গেছে। এ নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে চঞ্চলকে। তিনি দাবি করেছিলেন, তাকে ৩০ ফুট পানির নিচে লোহার খাঁচায় ডুবিয়ে দেয়া হোক। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসবেন। যদিও সেবার তিনি ৬ সেকেন্ডের মধ্যে বেরিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু হাজার হাজার ভক্ত দাবি করেছেন, তিনি কিভাবে ওই খাঁচা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তা তারা ধরে ফেলেছেন। এক পর্যায়ে তাদের হাতে প্রহারের শিকারে পরিণত হন তিনি।

প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2022
All rights reserved www.mzamin.com