এক্সক্লুসিভ
বিশ্বনাথে প্রেমের বলি কিশোরী
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্বনাথে আমিনা বেগম (১৪) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। ৮ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে আমিনা সবার ছোট। তার হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে যেমন রহস্য তেমনি এলাকায় নানা গুঞ্জনও রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রেমের কারণেই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে সে। তবে গ্রামের লোকজন প্রেম ও বিষপানের বিষয় জানালেও আমিনার পরিবারের লোকজন বিষপানের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন। তারা ভিন্ন কথা বলছেন। ঘটনা গত ৮ই জুন শনিবারে ওই দিন থেকে কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনসহ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন আমিনার ভাই আবদুস সালাম থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, একই গ্রামের সমছুদ্দিনের মেঝো ছেলে শফিক মিয়ার কাছে আমিনার বড়বোন সেলিনার বিয়ে হয়। আত্মীয়তার সুবাদে শফিকের ছোটভাই রশিক আলীর সঙ্গে আমিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে দু’পরিবারেই অশান্তি ছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় আমিনার ওপর চরম নির্যাতন করা হয়। অবশেষে গত ৭ই জুন বিকালে প্রেমিক তালতো ভাই রশিক আলীর উপস্থিতিতে দুই পরিবারের লোকজন মিলে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় পরদিন শনিবার রাতে রহস্যজনকভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার কথা বলে আমিনাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা সুনারুন বেগম, ভাই আবুল হাসনাত ও দুলাভাই শফিক মিয়া। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এ সময় লাশ রেখেই তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমির আলীর মাধ্যমে থানায় খবর দেয়া হয়। এরপর থানার এসআই মিজানুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাতে আমিনার লাশ দাফন করা হয়। গ্রামের মুরব্বি জমির আলী, হাবিবুর রহমান, হারুনুর রশীদ, সেবুল মিয়াসহ অনেকেরই দাবি নির্যাতনের কারণেই সে বিষপান করেছে। মা সুনারুন বেগম, ভাই আবদুস সালাম, আবুল হাসনাত তাদের বাড়িতে বৈঠক, প্রেম ও বিষপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার না বুঝে অযথা হয়রানি করতে লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।
আমিনার বড়বোন সেলিনা বেগম, দুলাভাই শফিক মিয়া ও তালতোভাই আসকির আলী বৈঠকের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রশিক আলীসহ সকলেই আমিনাদের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন।
দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, মেয়ের এক ভাই তাকে বিষপানের বিষয় জানানোর পর তিনি ওসমানী হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনার ময়নাতদন্তও করা হয়েছে যা তিনি জেনেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি কিছুই বলতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।
সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, একই গ্রামের সমছুদ্দিনের মেঝো ছেলে শফিক মিয়ার কাছে আমিনার বড়বোন সেলিনার বিয়ে হয়। আত্মীয়তার সুবাদে শফিকের ছোটভাই রশিক আলীর সঙ্গে আমিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে দু’পরিবারেই অশান্তি ছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় আমিনার ওপর চরম নির্যাতন করা হয়। অবশেষে গত ৭ই জুন বিকালে প্রেমিক তালতো ভাই রশিক আলীর উপস্থিতিতে দুই পরিবারের লোকজন মিলে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় পরদিন শনিবার রাতে রহস্যজনকভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার কথা বলে আমিনাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা সুনারুন বেগম, ভাই আবুল হাসনাত ও দুলাভাই শফিক মিয়া। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এ সময় লাশ রেখেই তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমির আলীর মাধ্যমে থানায় খবর দেয়া হয়। এরপর থানার এসআই মিজানুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাতে আমিনার লাশ দাফন করা হয়। গ্রামের মুরব্বি জমির আলী, হাবিবুর রহমান, হারুনুর রশীদ, সেবুল মিয়াসহ অনেকেরই দাবি নির্যাতনের কারণেই সে বিষপান করেছে। মা সুনারুন বেগম, ভাই আবদুস সালাম, আবুল হাসনাত তাদের বাড়িতে বৈঠক, প্রেম ও বিষপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার না বুঝে অযথা হয়রানি করতে লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।
আমিনার বড়বোন সেলিনা বেগম, দুলাভাই শফিক মিয়া ও তালতোভাই আসকির আলী বৈঠকের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রশিক আলীসহ সকলেই আমিনাদের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন।
দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, মেয়ের এক ভাই তাকে বিষপানের বিষয় জানানোর পর তিনি ওসমানী হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনার ময়নাতদন্তও করা হয়েছে যা তিনি জেনেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি কিছুই বলতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।