শেষের পাতা
বাসন্তী চাকমার বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল পাহাড়
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
৪ মার্চ ২০১৯, সোমবার, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
সংসদে সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমার উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল তিন পার্বত্য জেলা। বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে গতকাল রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলাসহ ২৭ উপজেলায় মানববন্ধন হয়েছে সচেতন পার্বত্যবাসী ব্যানারে। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি বাসন্তী চাকমা পার্বত্যাঞ্চলে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে সংসদে মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধন থেকে বাসন্তী চাকমার সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধনে পাহাড়ি-বাঙালি সমপ্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধন শেষে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে নাগরিক পরিষদের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, রূপ কুমার চাকমা, মো. জাহাঙ্গীর কামাল, রাসেল মারমা, জামাল উদ্দিন, কাজী মো. জালোয়া, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও পার্বত্য খাগড়াছড়ি এলাকায় বসবাসরত বাঙালিদের য়িে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। আমরা পার্বত্যবাসী মনে করি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং দেশের গর্ব সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রয়াস মাত্র। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ১৬ কোটি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিসহ মূল চেতনায় আঘাত করেছেন। পাশাপাশি রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল বাঙালিকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসন ৩৩৩- এর মনোনীত সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমার বক্তব্যে পার্বত্য জেলার সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ গণতন্ত্র রক্ষায় দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিন পার্বত্য জেলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ চিকিৎসা প্রদানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের গর্ব সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেশদ্রোহিতার শামিল বলে পার্বত্যবাসী মনে করে। তাই বাসন্তী চাকমার বক্তব্য প্রত্যাহারসহ তাকে জনসম্মুখে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বাঙালি নেতাদের: সচেতন পার্বত্যবাসী’র ব্যানারে রোববার সকালে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে পার্বত্য নাগরিক- এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী থেকে সংসদ সদস্যের আপত্তিকর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা না হলে ইতিহাসে এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনী ও পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে নির্লজ্জ মিথ্যাচারের ভাষণটি একটি দলিল হিসেবে দাঁড় করাবে কুচক্রী মহল। তাই অনতিবিলম্বে বহুল বিতর্কিত রাষ্ট্রবিরোধী এই বক্তব্যটি সংসদের কার্যবিবরণী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাসন্তী চাকমার বক্তব্য সামপ্রদায়িক উস্কানি, পার্বত্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্র ও গর্বিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, বানোয়াট উল্লেখ করা হয় মানববন্ধনে। এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যমে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা কি বোঝাতে চেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দাবি করা হয় মানববন্ধন থেকে। বাসন্তী চাকমার দেয়া সকল মিথ্যা ও ধর্মীয় অনুভূতিসহ পার্বত্য এলাকায় সামপ্রদায়িক সমপ্রীতিতে আঘাত করা বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধনে পাহাড়ি-বাঙালি সমপ্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধন শেষে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে নাগরিক পরিষদের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, রূপ কুমার চাকমা, মো. জাহাঙ্গীর কামাল, রাসেল মারমা, জামাল উদ্দিন, কাজী মো. জালোয়া, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও পার্বত্য খাগড়াছড়ি এলাকায় বসবাসরত বাঙালিদের য়িে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। আমরা পার্বত্যবাসী মনে করি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং দেশের গর্ব সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রয়াস মাত্র। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ১৬ কোটি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিসহ মূল চেতনায় আঘাত করেছেন। পাশাপাশি রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল বাঙালিকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসন ৩৩৩- এর মনোনীত সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমার বক্তব্যে পার্বত্য জেলার সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ গণতন্ত্র রক্ষায় দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিন পার্বত্য জেলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ চিকিৎসা প্রদানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের গর্ব সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেশদ্রোহিতার শামিল বলে পার্বত্যবাসী মনে করে। তাই বাসন্তী চাকমার বক্তব্য প্রত্যাহারসহ তাকে জনসম্মুখে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বাঙালি নেতাদের: সচেতন পার্বত্যবাসী’র ব্যানারে রোববার সকালে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে পার্বত্য নাগরিক- এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী থেকে সংসদ সদস্যের আপত্তিকর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা না হলে ইতিহাসে এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনী ও পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে নির্লজ্জ মিথ্যাচারের ভাষণটি একটি দলিল হিসেবে দাঁড় করাবে কুচক্রী মহল। তাই অনতিবিলম্বে বহুল বিতর্কিত রাষ্ট্রবিরোধী এই বক্তব্যটি সংসদের কার্যবিবরণী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাসন্তী চাকমার বক্তব্য সামপ্রদায়িক উস্কানি, পার্বত্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্র ও গর্বিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, বানোয়াট উল্লেখ করা হয় মানববন্ধনে। এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যমে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা কি বোঝাতে চেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দাবি করা হয় মানববন্ধন থেকে। বাসন্তী চাকমার দেয়া সকল মিথ্যা ও ধর্মীয় অনুভূতিসহ পার্বত্য এলাকায় সামপ্রদায়িক সমপ্রীতিতে আঘাত করা বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়।