এক্সক্লুসিভ

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ৪০ বছর পূর্তি উৎসব

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মদানের ভেতর দিয়ে জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ তার নির্মাণের পর্ব। এই নির্মাণকে অর্থময় করার জন্যে আজ এ-দেশে চাই অনেক সম্পন্ন মানুষ; সেইসব মানুষ যারা উচ্চ-মূল্যবোধসম্পন্ন, আলোকিত, উদার, শক্তিমান ও কার্যকর যারা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন অঙ্গনে শক্তিমান নেতৃত্ব দিয়ে এই জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তাদের আজ পেতে হবে আমাদের বিপুল সংখ্যায় সারা দেশে, সবখানে। এককে-দশকে নয়; সহস্রে, লক্ষে। আর কেবল সংখ্যায় পেলেই চলবে না তাদের পেতে হবে একত্রিত ও সমবেতভাবে। তাদের গ্রথিত করতে হবে শক্তিশালী সংঘবদ্ধতায়, উত্থান ঘটাতে হবে জাতীয় শক্তি হিসেবে।


ছোট্ট পরিচিতি
সারাদেশের সবখানে এইসব আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করা, জাতীয় শক্তি হিসেবে তাদের সংঘবদ্ধ করা এবং এরই পাশাপাশি দেশের মানুষের চিত্তের সামগ্রিক আলোকায়ন ঘটানো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যগুলোকে সফল করে তোলার জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ১৯৭৮ সাল থেকে এ-পর্যন্ত দেশভিত্তিকভাবে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচিগুলো নিম্নরূপ :

১. দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম
ক. স্কুল-কলেজ কর্মসূচি
স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মনের বিকাশ ও উৎকর্ষের লক্ষ্যে কেন্দ্রের প্রথম বড় কর্মসূচি এটি। ১৯৮৪ সালে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত কর্মসূচিটি পরিচালিত হয়েছে দুটি আদলে। প্রথম পর্বে (১৯৮৪-২০০২) এই কর্মসূচির আওতায় দেশের যেখানেই একসঙ্গে দু-তিনটি স্কুল ও দু-একটি কলেজ পাওয়া গিয়েছিল সেখানেই, ওই শিক্ষায়তনগুলোর সঙ্গে উপগ্রহের আদলে, এই কার্যক্রমের একটি করে শাখা গড়ে তোলা হয়েছিল।

একজন সংস্কৃতিবান, যোগ্য ও উদ্যমশীল মানুষের নেতৃত্বে আলোকিত পরিবারের মতো গড়ে উঠেছিল এই শাখাগুলো। তারপর এই শিক্ষায়তনগুলোর ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ এই সাতটি শ্রেণির মেধাবী, প্রতিভাবান ও উদ্যম-উৎসাহসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের খুঁজে এনে বছরের-পর-বছর ধরে ওই শাখায় তাদের সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। দু-ভাবে এই চেষ্টা চলেছে: [১] ওই সাত বছরে তাদের মন ও বয়সের উপযোগী প্রায় পৌনে দুশো শ্রেষ্ঠ বই পঠন-পাঠনের ভেতর দিয়ে (প্রতিবছর ১৬টি নিয়মিত ও ৯টি অতিরিক্ত বই)। বইপড়াকে উৎসাহিত করার জন্য ছিল পর্যাপ্ত
পুরস্কারের ব্যবস্থা। [২] একটি আনন্দময় বহুমুখী সাংস্কৃতিক জীবনের ভেতর দিয়ে তাদের সুস্মিতভাবে বিকশিত করে তোলার মাধ্যমে। বইপড়ার মাধ্যমে ঘটেছে তাদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ, সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ভেতর দিয়ে হৃদয়বৃত্তির। এভাবে জীবনের সূচনালগ্নেই তারা হৃদয়বান, মননশীল ও আনন্দময় মানুষ হিসেবে বিকশিত হবার সুযোগ পেয়েছে।

পট পরিবর্তন:
২০০৪ সালে এসে দেশভিত্তিক উৎকর্য কার্যক্রম, হুবহু একই আদলে, স্কুল-কলেজের বাইরে থেকে স্থানান্তরিত হয়ে যায় স্কুল-কলেজের ভেতরে। শুরু হয় আলাদা আলাদা স্কুল-কলেজকে কেন্দ্র করে এই কার্যক্রম। স্কুল-কলেজগুলোর প্রধান শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রী ও অধ্যক্ষ-অধ্যক্ষাদের অভিভাবকত্বে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন যোগ্য ও সংস্কৃতিমনা শিক্ষক/অধ্যাপকের নেতৃত্বে নতুন চরিত্র নিয়ে শুরু হয় এটি। বর্তমানে দেশের ১৬০০ স্কুল ও ৫০০ কলেজে কর্মসূচিটি নিয়মিতভাবে চলছে। মোট সভ্যসংখ্যা ২,২৫,০০০।

২. পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কার্যক্রম
কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে ২০১০ সালে। এই কার্যক্রমটি কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির স্কুল পর্যায়ের কর্মসূচির হুবহু অনুরূপ, কিন্তু আকারে অনেক বড়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৫০টি উপজেলার ১২০০০ স্কুলে ও মাদ্রাসায় এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে কার্যক্রমটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব উদ্যোগে চলমান আছে। প্রতি বছর এই কার্যক্রমের প্রায় ২২ লক্ষ সদস্য অংশগ্রহণ করে। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কার্যক্রম এই মুহূর্তে কেন্দ্রের বৃহত্তম কার্যক্রম। কর্মসূচিটি দেশের ৩০,০০০ স্কুল ও মাদ্রাসায় সম্প্রসারিত হওয়ার আশু সম্ভাবনা রয়েছে।

৩. জাতীয়ভিত্তিক লাইব্রেরি কার্যক্রম
জাতীয় চিত্তের আলোকায়নের লক্ষ্যে এই কার্যক্রমের আওতায় নেওয়া হয়েছে দুটি উদ্যোগ:


ক. ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি
বইপড়ার সুবিধাকে সারাদেশের সব মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্ররি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ      হ এরপর পৃষ্ঠা ২০ কলাম ১
দশম পৃষ্ঠার পর     সম্পূর্ণ হলে দেশের প্রতিটি জেলাশহরসহ প্রতিটি উপজেলায়, ইউনিয়নে, দেশের প্রতিটি সংযোগ-সড়কের দুপাশের গঞ্জ, বাজার ও বর্ধিষ্ণু গ্রামগুলোতেও কেন্দ্রের বইপড়ার সুবিধা পৌঁছে যাবে। এ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী মহানগরীগুলোসহ ৫৮টি জেলার ২৫০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্যসংখ্যা বর্তমানে ৩ লক্ষ ও লাইব্রেরির গাড়ির সংখ্যা ৪৬টি। জুলাই ২০১৯ থেকে গাড়িবহরের সংখ্যা আরও ৩০টি গাড়ি যোগ হওয়াসহ কর্মসূচিটির ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটতে যাচ্ছে। এতে গোটা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সকল উপজেলার সব জায়গাই এই কর্মসূচির আওতায় আসবে। বর্তমানে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প এই কার্যক্রমে অর্থায়ন করছে।

খ. ঢাকা লাইব্রেরি
ঢাকায় একটি ভালো মানের লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। সুপরিসর ও দৃষ্টিনন্দনভাবে সজ্জিত এক লক্ষ ৭০ হাজার
বইয়ের একটি সুসমৃদ্ধ লাইব্রেরি এটি।

৪. আলোর ইশকুল
উদার উৎকর্ষময় ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবনে শুরু হয়েছে কেন্দ্রের নতুন কর্মসূচি: ‘আলোর ইশকুল’। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রতি পাঁচ বছরে এই ইশকুলের সভ্যদের জন্য শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা থেকে শুরু করে দর্শন, বিজ্ঞান ও মানবজ্ঞানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার ওপর আয়োজিত হয় ৭৫টি উৎকর্ষচক্র। এ ছাড়াও এর আওতায় পরিচালিত হচ্ছে ব্যাপক পড়াশোনার কার্যক্রম। চক্রগুলোর আনন্দময় ও সম্পন্ন পরিবেশে অংশ নিয়ে সভ্যেরা বহুমাত্রিক মানুষ হিসেবে বিকশিত হয়ে উঠবেন, কেন্দ্র এ আশা করে। কর্মসূচিটি ৬ বছর ধরে চলছে।
আলোর ইশকুলের পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে নানা বিষয়ের ওপর সক্রিয় রয়েছে বেশ কিছু পাঠচক্র।

৫. প্রকাশনা কার্যক্রম
দেশের মানুষের চিত্তের আলোকায়নের লক্ষ্যে এটি কেন্দ্রের আর একটি কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠ বইগুলো প্রকাশের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ভাষার শ্রেষ্ঠ বইগুলো বাংলায় প্রকাশের চেষ্টা চলছে। এ-পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ বই প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি পৃথিবীর ৫০০টি চিরায়ত বই অনুবাদের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

৬. শ্রবণ-দর্শন কার্যক্রম
দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম ও আলোর ইশকুলের সদস্যসহ দেশের আলোকপিপাসু ব্যক্তিদের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংগীত শোনার ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ প্রসারিত করার মাধ্যমে তাঁদের শিল্পরুচিকে সম্পন্ন ও সৌকর্যময় করে তোলার লক্ষ্যে পরিচালিত এই কার্যক্রম। এর বিভাগ দুটি :
ক. চলচ্চিত্র লাইব্রেরি
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের একটি উন্নতমানের সংগ্রহ রয়েছে এই লাইব্রেরিতে। এই লাইব্রেরির উদ্যোগে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে একটি চলচ্চিত্র চক্র।
এছাড়াও রুচিশীল ও সংস্কৃতিমনা মানুষদের চলচ্চিত্ররুচি বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিবছর সারা দেশের জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর ৪০০টি স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের চলচ্চিত্র-প্রেমিকদের জন্য শহরগুলোর বিভিন্ন মিলনায়তনে মোট ২৫০টি চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর প্রায় ২ লক্ষ দর্শক এই উৎসবগুলোয় প্রদর্শিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো উপভোগের মাধ্যমে তাঁদের জীবনদৃষ্টি ও শিল্পরুচিকে উৎকর্ষময় করার সুযোগ পান।
খ. শ্রবণ বিভাগ
এই বিভাগের আওতায় ঢাকাস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যালয়ে বিশ্বসংগীতের একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকাস্থ কেন্দ্রের বিভিন্ন উৎকর্ষ কার্যক্রমের সদস্য এবং সাধারণ সংগীতপিপাসু ও আগ্রহী শ্রোতারা এই সংগীত-লাইব্রেরির সদস্য হয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংগীত শ্রবণের পাশাপাশি সংগীত বিষয়ে পঠন-পাঠন ও গবেষণার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

৭. বাংলাভাষার চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহ ও প্রকাশনা কার্যক্রম
২০০০ সালে কেন্দ্র ‘বাংলাভাষার চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহ ও প্রকাশনা প্রকল্প’ নামে একটি বৃহদায়তন আকরিক সংগ্রহগ্রন্থ প্রকাশ করার কর্মসূচি হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন বিষয় যেমন- শিল্প, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে বাঙালি মনীষীরা গত ২০০ বছর ধরে যা কিছু লিখেছেন সেই লেখাগুলো সংগ্রহ করে তা থেকে শ্রেষ্ঠ রচনাগুলো বেছে নিয়ে ১৬টি বিষয়ে ২০০ খণ্ডে একটি সংগ্রহগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংগ্রহ গ্রন্থটির নাম বাঙালির চিন্তামূলক রচনা। ২০০ খণ্ডের এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে তা কেবল আমাদের নয়, সমস্ত বঙ্গভাষাভাষী মানুষের জন্য হবে এক মূল্যবান ও গৌরবময় সম্পদ। গ্রন্থমালাটি অচিরেই প্রকাশিত হবে।

৮. বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সাংস্কৃতিক ভবন
সারাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অঙ্গনে গড়ে তোলা হয়েছে একটি ন’তলা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স। ভবনটি ৫৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের। এই ভবনটি প্রাণচঞ্চল রয়েছে নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। এখানে আছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার বই সম্বলিত একটি সুসমৃদ্ধ লাইব্রেরি, একটি আর্ট গ্যালারি, তিনটি মিলনায়তন, একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী কেন্দ্র, একটি সম্মেলন কেন্দ্র, একটি উন্নতমানের বইবিক্রয় কেন্দ্র, একটি ভিডিও রেকর্ডিং স্টুডিও, পঠন-পাঠনের এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ১০টি পাঠকক্ষ ও অন্যান্য কক্ষ, অতিথিশালা, কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ও ছাদে একটি করে উন্মুক্ত ও সুপরিসর ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি।

৯. ভ্রাম্যমাণ বইমেলা
কেন্দ্রের প্রকাশিত বইসহ দেশি-বিদেশী লেখকের সেরা বইগুলো সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। একটি বড় আকারের গাড়িকে সুশোভিত করা হয়েছে, যা ১০/১২ হাজার শ্রেষ্ঠ বই নিয়ে বছরব্যাপী দেশের সব জেলা-উপজেলা শহরে মেলা আয়োজন করছে।

১০. উপসংহার
দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যায় আলোকিত, কার্যকর, উচ্চ-মূল্যবোধ ও সম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা, তাদের জাতীয় শক্তি হিসেবে সংঘবদ্ধ ও সমুন্নত করা এবং দেশের আপামর মানুষের চিত্তের সার্বিক আলোকায়ন ঘটানোর লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র নিয়োজিত। জাতীয় জীবনে উচ্চায়ত চৈতন্য ও আলোকের পদপাত আমাদের আজ ঘটাতেই হবে, যদি একটি বড় দেশ ও বড় জাতিকে আমরা গড়ার কথা ভাবি। মানুষ ক্ষুদ্র আর জাতি বড়- এ কখনও হয় না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোকিত মানুষের স্বপ্ন এমনি এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্যে।
বছরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সংখ্যা
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সব বিভাগ মিলিয়ে অংশগ্রহণকারী পাঠকসংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। জাতীয় জীবনে উচ্চায়ত চৈতন্য ও আলোকের পদপাত আমাদের আজ ঘটাতেই হবে, যদি একটি বড় দেশ ও বড় জাতিকে আমরা গড়ার কথা ভাবি। মানুষ ক্ষুদ্র আর জাতি বড় এ কখনও হয় না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোকিত মানুষের স্বপ্ন এমনি এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্যে।
দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম ২,১৬,৭২৬ জন, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি ২০,৯০,৫৮৬ জন, পিটিআই কর্মসূচি ১২,৫০০ জন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ৩,৩০,০০০ জন, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ১২,০০০ জন, কোর্স ও পাঠচক্র ১০,৮০০ জন, আলোর ইশকুল ৩০০ জন, আলোর পাঠশালা ১৪, ৫৮৬ জন।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2022
All rights reserved www.mzamin.com