অনলাইন
হালির হাওরের বাঁধ ভেঙে ডুবছে বোরো ফসল
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার, ১:৫৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার আহসানপুর গ্রামের পাশে পাউবোর ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ডুবল হালির হাওর। এই হালির হাওরে প্রায় ৫৭৫০ হেক্টর বোরো জমিতে ধান চাষ করেছিলেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির গাফিলতি, পাউবোর দুর্নীতি ও পিআইসির উদাসীনতায় সুনামগঞ্জে একের পর এক বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। এ যেন কৃষকের নিয়তিতে পরিনত হচ্ছে। কোন কাজেই আসছে না সরকারের ১২২ কোটি টাকার বরাদ্দ। সময় মতো বাঁধের কাজ শুরু এবং শেষ না হওয়ায় ও সরকারী নীতিমালা না মানার কারণে বাঁধ ভাঙ্গাকে দায়ি করছেন কৃষকরা। বাঁধের কাজ শুরু থেকে হাওরবাঁচাও জেলা কমিটি বিভিন্ন দাবী আন্দোলন করে হাওর ডুবির দায় প্রশাসন ও পাউবোকেই নিতে হবে বলে আসছেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওরের আছানপুর গ্রামের পাশের বাঁধ ভেঙে হালির হাওর ডুবল। দেখতে দেখতেই পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল। এই হাওরে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছিল। কৃষকরা জানান, এখনও হাওরের অর্ধেক ধানও কাটা হয়নি। এ মুহূর্তে পানি এসে হাওর তলিয়ে গেল।
হালির হাওরের কৃষক মনি বলেন, আমার অনেক জিমিতে আধপাকা ধান আছে, এখনো অর্ধেক কাটা হয়েছে। আর মাড়া ও কাটাইকৃত ধান নিয়ে আছি আরো বিপদে বাঁধ ভাঙ্গার পর সারা রাত খলা থেকে বাড়িতে তুলছি কাটা ধান। বহু কৃষকের জমি নিজের চোখের সামনেই পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার জানান, এই হাওরে আনুমানিক ৭০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেও শুরু থেকেই হাওরের বাঁধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের নিয়ে কাজ করেছি। সোমবার রাতে হঠাৎ আহসানপুরের বাঁধ ভেঙ্গে হালির হাওরে পানি প্রবেশ করে। আমরা চেষ্টা করেছি আটকানো সম্ভব হয়নি। তবে এই হাওরে প্রায় ৯০ ভাগের উপরে ধান কাটা হয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, হালির হাওরে ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আছানপুরের বাঁধ ভেঙে হালির হাওরে পানি প্রবেশ শুরু করে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে ভাঙন ফিরানো যায়নি।
কৃষকরা জানান, কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির গাফিলতি, পাউবোর দুর্নীতি ও পিআইসির উদাসীনতায় সুনামগঞ্জে একের পর এক বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। এ যেন কৃষকের নিয়তিতে পরিনত হচ্ছে। কোন কাজেই আসছে না সরকারের ১২২ কোটি টাকার বরাদ্দ। সময় মতো বাঁধের কাজ শুরু এবং শেষ না হওয়ায় ও সরকারী নীতিমালা না মানার কারণে বাঁধ ভাঙ্গাকে দায়ি করছেন কৃষকরা। বাঁধের কাজ শুরু থেকে হাওরবাঁচাও জেলা কমিটি বিভিন্ন দাবী আন্দোলন করে হাওর ডুবির দায় প্রশাসন ও পাউবোকেই নিতে হবে বলে আসছেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওরের আছানপুর গ্রামের পাশের বাঁধ ভেঙে হালির হাওর ডুবল। দেখতে দেখতেই পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল। এই হাওরে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছিল। কৃষকরা জানান, এখনও হাওরের অর্ধেক ধানও কাটা হয়নি। এ মুহূর্তে পানি এসে হাওর তলিয়ে গেল।
হালির হাওরের কৃষক মনি বলেন, আমার অনেক জিমিতে আধপাকা ধান আছে, এখনো অর্ধেক কাটা হয়েছে। আর মাড়া ও কাটাইকৃত ধান নিয়ে আছি আরো বিপদে বাঁধ ভাঙ্গার পর সারা রাত খলা থেকে বাড়িতে তুলছি কাটা ধান। বহু কৃষকের জমি নিজের চোখের সামনেই পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার জানান, এই হাওরে আনুমানিক ৭০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেও শুরু থেকেই হাওরের বাঁধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের নিয়ে কাজ করেছি। সোমবার রাতে হঠাৎ আহসানপুরের বাঁধ ভেঙ্গে হালির হাওরে পানি প্রবেশ করে। আমরা চেষ্টা করেছি আটকানো সম্ভব হয়নি। তবে এই হাওরে প্রায় ৯০ ভাগের উপরে ধান কাটা হয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, হালির হাওরে ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আছানপুরের বাঁধ ভেঙে হালির হাওরে পানি প্রবেশ শুরু করে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে ভাঙন ফিরানো যায়নি।