অনলাইন

জাল দলিল: আওয়ামী লীগ নেতা সাহারুল সহ কারাগারে ৩

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে

৩০ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৭:৩২ পূর্বাহ্ন

দলিল লেখক ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী সাহারুল ইসলামের রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত জেলে যেতে হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে জেলে গেছেন ভুয়া দলিল দাতা বিজয়নগর উপজেলার দক্ষিন রাজাবাড়ি গ্রামের সাধন সরকার ওশসনাক্তকারী জেলা শহরের কান্দিপাড়ার মো: রুস্তম আলী। এরআগে জমির ভুয়া বিক্রেতা, দলিল লেখক ও সনাক্তকারীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেন সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের মোহরার জয়ন্তী রানী চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ভুয়া দাতা সেজে জায়গা দলিল করে নেয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর রাতে এ ঘটনায় মামলা হলে জাল দলিল বানানোর ৩ হোতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর সাব রেজিষ্টারের এজলাসে বিজয়নগর উপজেলার চর-পাচগাও মৌজার বিএস চূড়ান্ত ৭২৭ খতিয়ানভুক্ত বিএস ৪৪৫৭ দাগের ৩৫ শতক জমি নিবন্ধনের জন্যে দাখিল করা হয়। খতিয়ানে জমির মূল মালিক হিসেবে মৃত চন্দ্র কিশোর শর্মার ছেলে হরেন্দ্র কান্ত শর্মার নাম উল্লেখ  থাকলেও নিবন্ধনের জন্যে দলিল দাখিল করেন সাধন শর্মা। সে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা অবচরণ সরকারের পরিবর্তে হরেন্দ্র কান্ত শর্মার নাম লিপিবদ্ধ করে। সাব রেজিষ্টার মো: ইয়াছিন আরাফাতের সন্দেহ হলে তিনি এ্যাপসের সাহায্যে জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে সেটি ভুয়া বলে নিশ্চিত হন। এরপরই সাধন সরকার ও মো: রুস্তম আলীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ওইসময় দলিলটির লেখক সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাজী সাহারুল ইসলাম তার দায় এড়াতে দলিল দাতা ও শনাক্তকারীর বিরুদ্ধে নিজেই বাদী হয়ে মামলা দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেসে যান সাহারুল। দলিলের শেষাংশে দলিল লেখক হিসেবে তার অঙ্গীকার আছে -‘হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মুল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী অত্র দলিলের মুসাবিধা/লিখিয়া দিয়াছি এবং পক্ষগনকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি।’ সদর উপজেলার সুুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাহারুলকে ছাড়িয়ে নিতে রাতে থানায় ভিড় জমান দলের নেতাদের অনেকে। জাল দলিলে গ্রহিতা হিসেবে নাম রয়েছে চর ইসলামপুরের মৃত মন্ডল হোসেনের ছেলে মো: ইয়াছিন মিয়ার। তাকে ছাড়াও এই মামলায় আসামী করা হয় শহরের মেড্ডার নয়ন ঋষি ও বিজয়নগরের ইসলামপুরের মো: নূরুল ইসলামকে। এ ৩ জন ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। দলিলে জমির মুল্য দেখানো হয় ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে আটকের পর দলিল দাতা সাধন জানায়- ২ হাজার টাকার বিনিময়ে জমির দাতা হয়েছে সে। জমির মালিক সে নিজে,তা বলার জন্যে শিখিয়ে দেয়া হয় তাকে। সদর সাব রেজিষ্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আখাউড়ার সাব রেজিষ্টার মো: ইয়াছিন আরাফাত জানান,নিবন্ধন মহা পরিদর্শকের সাথে কথা বলে মূল দলিলটি জব্দ করা হয়েছে। সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রহিম জানান, মামলার ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৩ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status