খেলা
ঘরোয়া ক্রিকেট শুরুর যে পরিকল্পনা বিসিবি’র
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
দুই ভাগে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আর জাতীয় দল, হাই পারফরমেন্স ইউনিট ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে বিসিবির পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আসর। তার আগে ১লা নভেম্বর পুনরায় শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ক্যাম্প শেষে তারা খেলবে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও। এরপরই দেশের স্থগিত হয়ে যাওয়া সবগুলো লীগ শুরু করবে বিসিবি। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট শুরু করবো বললেই হবে না। আসলে করোনা পরিস্থিতি তো আমাদের দেশে একেবারে ভালো হয়ে যায়নি যে আমরা এখনই সব শুরু করতে পারবো। আমাদের ক্যাম্প তো চলছেই। এরপর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ওরা তিনটি। এরপর আবার আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করতে যাচ্ছি। তবে আগে গুরুত্ব দেয়া হবে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা।’ বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি ভাগ আছে। একটি হচ্ছে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি যে পাঁচ-ছয়টি দল নিয়ে খেলার জন্য। ছয়টি দল হলে ৯০ জন খেলোয়াড়। যত বেশি খেলোয়াড় একসঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়, তাহলে সেটা ভালো হবে। এটা কর্পোরেট লীগ হতে পারে বা বিসিবির দল হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে আমাদের জাতীয় দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা তিন-চারটি দল বানিয়ে ফেলতে পারি। ওদের মধ্যে একটা টুর্নামেন্ট হতে পারে। যেখানে বিসিবি স্পন্সর থাকবে। এসব নিয়েই আজ আলাপ হয়েছে। এর বাইরে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে লীগের খেলাগুলো চালু করে দিবো। এটা আজকেই বলে দিতে পারতাম, তবে এখানেই শেষ না। আমি বলেছি ওদেরকে (সিসিডিএম ও টুর্নামেন্ট কমিটি) প্রস্তাব দিতে। কীভাবে আমরা এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ওদেরকে নিরাপদ রেখে খেলা পরিচালনা করতে পারি সেই প্রস্তাব দিতে বলেছি। এ নিয়ে কিছু সাজেশনও দেয়া হয়েছে, ওরা দুই একদিনের মধ্যেই মনে হয় জানাতে পারবে।’ ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ চালু করতে গেলেও করোনা পরিস্থিতি মাথায় রাখতে হবে বিসিবির। নাজমুল হাসান বলেন, ‘খেলা তো চলবে, এদের তো এখনো ১৫ দিনের ক্যাম্প বাকি আছে। এই অনুশীলনটা চলবে। এরপর খেলা হবে। তিনটি অনুশীলন ম্যাচ হবে ওদের মধ্যেই। জাতীয় দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার নিয়ে যদি আমরা টুর্নামেন্ট করতে পারি তাহলে সেটি দিয়েই ক্রিকেট শুরু হবে। এটা খুব সম্ভবত টি-টোয়েন্টিই হবে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের যে লীগ, প্রথম, দ্বিতীয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ যা যা বাকি আছে সেগুলো শেষ করে ফেলা হবে। এটার প্রস্তুতির জন্যই একটু সময় নিচ্ছি। খেলা চালু করা তো গুরুত্বপূর্ণ না, কথা হলো আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো কীভাবে? খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমি বলেছি ক্লাবগুলোকে ডাকতে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে এবং আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিতে। সেই পরিকল্পনা যদি মোটামুটি সন্তোষজনক হয়, তাহলে আমরা দ্রুত খেলা চালু করে দিবো।’