বাংলারজমিন

ভাঙা সড়কে সাঁকো দুর্ভোগে হাজারো পরিবার

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

মাসের পর বছর পেরিয়ে গেলেও মেরামত হয়নি শহররক্ষা সড়ক। গত বছরের বন্যায় ভেঙে গেলেও মাসের পর মাস পেরিয়ে বছর শেষ হলেও উদ্যোগ না নেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। দুর্ভোগে কয়েক হাজার পরিবার। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। দিনের পর দিন বাড়ছে দুর্ভোগ বন্যায় ডুবছে সদরসহ শতাধিক গ্রাম।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে বন্যার পানির তোড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার (শহররক্ষা বাঁধ) কাঁচকোল সড়কটি ভেঙে যায়। এ সময় সড়কসহ বেশকিছু বাড়িঘর ভেসে যায়। চলে যায় বন্যা কিন্তু ভাঙা অংশ করা হয়নি মেরামত ফলে দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসীসহ হাজারো মানুষ। যদিও রাস্তার এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত পর্যন্ত এলাকাবাসী চলাচলের জন্য বাঁধ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বছর ধরে। শুধু তাই নয় ভেসে ও ভেঙে যাওয়া সড়কটি বছর পেরিয়ে গেলেও মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় চলতি বছরে উক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে দ্রুত বন্যার পানি প্রবেশ করে উপজেলা সদরসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম তলিয়ে দেয়। প্রায় মাসব্যাপী বন্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষকে। সড়কটি মেরামত না করায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষজনকে সদরে যোগাযোগ রাখতে পায়ে হেটে অথবা অন্য রাস্তা দিয়ে বেশ দূর ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও উপজেলা সদরসহ শতাধিক গ্রাম রয়েছে বন্যার মুখে। এলাকার মামুন, দেলোয়ারসহ অনেকে বলেন, এই সড়কটিকে বলা হয় শহররক্ষা বাঁধ এবং এই সড়কটি সদরসহ প্রায় শতাধিক গ্রামকে রাখে বন্যামুক্ত। এরপরেও ১ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে না। তারা আরো জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন ভাঙা থাকায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বাঁশ টানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন চলাচল করছে বছরব্যাপী। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই। দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বিএসসি বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য দায়িত্বরতদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে সমাজসেবক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবু হানিফা রঞ্জু বলেন, সড়কটি মেরামত না করায় এই বছর পুরো শহরসহ গ্রামের পর গ্রাম প্রায় মাসব্যাপী পানিতে তলিয়ে ছিল। এ ছাড়াও দুর্ভোগ বাড়ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্‌ বলেন, দ্রুত সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status