বাংলারজমিন
মেঘনায় বিলীন ৩২ দোকানঘর
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট বাজার থেকে এক সময় মেঘনার দূরত্ব ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। বর্তমানে ওই বাজার থেকে মেঘনার দূরত্ব মাত্র দুইশ’ ফুট। তীব্র স্রোত এবং ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে চার যুগের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটি। বাজারটির মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া মাতাব্বরহাট খাল মিলিত হয়েছে মেঘনার নদীর সঙ্গে। বর্তমানে বাজারটি নদীর তীরবর্তী হওয়া জোয়ারের তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে প্রায় ১২টি দোকানঘর। চার যুগেরও আগে প্রতিষ্ঠিত বাজারটিতে প্রায় দু’শ’টি দোকানঘর রয়েছে। তার মধ্য মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের ২টি, মাকসুদ মেম্বারের ১টি, দুলালের ১টি, ইউছুপের ১টি, মোহসীন হাওলাদারের ১টি, ইব্রাহিমের ১টি, সেলিম হাওলাদারে ১টি ও মো. সিরাজের ১টি দোকানঘরসহ প্রায় ১২টি দোকান জোয়ারের স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। জরুরি কোনো পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী এ মাতাব্বরহাট বাজার। এর দুই সপ্তাহ আগে আকস্মিক ভাঙনে চরফলকনের বাঘারহাট বাজারের মাহবুব বাঘার ১টি, সাহাব উদ্দিন বাঘার ২টি, ডা. ওয়ালী উল্লাহ’র ১টি, মো. হিরণের ১টি ও মফিজুল ইসলাম বাঘার ১০টি দোকানঘরসহ প্রায় ২০টি দোকানঘর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। চরফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়ে বাঘারহাট বাজারে অস্থায়ীভাবে স্কুল পরিচালনা করলেও এক বছরের মাথায় ওই স্কুলটিও আবার মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্ত্বে বিলীন হয়ে যেতে পারে পুরো বাজারটি। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি সময়মতো পদক্ষেপ নিতো তাহলে হয়তো এ দু’টি বাজার রক্ষা পেত। তাদের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন ওইসব ভাঙন কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষ।